সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপের মঞ্চে ২০১৫ সালের পর আবার বোলারের ভূমিকায় বিরাট কোহলিকে (Virat Kohli) দেখা গেল। চলতি বিশ্বকাপে (ICC World Cup 2023 IND vs BAN) টিম ইন্ডিয়ার (Team India) মুখোমুখি হয়েছিল বাংলাদেশ (Bangladesh)। ম্যাচের বয়স তখন ৮ ওভার। সেই ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে হার্দিক পাণ্ডিয়াকে (Hardik Pandya)পরপর দুটি চার মারেন লিটন দাস (Litton Das)। আর এর পরেই ঘটে অঘটন। চতুর্থ বল হাত থেকে বেরোনোর আগেই পা পিছলে ক্রিজে লুটিয়ে পড়েন তারকা অলরাউন্ডার। তাঁকে মাঠের বাইরে যেতে বলে দিয়েছিলেন অধিনায়ক রোহিত শর্মা (Rohit Sharma)। এর পর তাঁর নির্ধারিত ওভারের শেষ তিন বল করতে দেখা গেল বিরাটকে। দিয়েছেন ২ রান। সেই ভিডিও ভাইরাল হতে সময় লাগেনি।
টস জিতে ব্যাটংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশ। ৮.৩ ওভারের মাথায় চোট পান হার্দিক। সাপোর্ট স্টাফের কাঁধে ভর দিয়ে মাঠ ছাড়তে দেখা যায় তাঁকে। সেই ওভারের তিন বল তখনও বাকি। হার্দিকের বাকি ৩ বল করেন বিরাট। গ্য়ালারি জুড়ে তখন শুধুই শোনা যায়, ‘বিরাট-বিরাট’ ধ্বনি। ২০১১ সালে ঘরের মাঠে যে বিশ্বকাপে ভারত জিতেছিল, সেখানেও বল হাতে দেখা গিয়েছিল বিরাটকে। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিতীয় কোয়ার্টার ফাইনালে এক ওভার বল করেছিলেন। দিয়েছিলেন ৬ রান। এমনকি শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফাইনালেও বোলার বিরাটকে ব্যবহার করেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এক ওভার বল করে দিয়েছিলেন ৬ রান। এছাড়া ২০১৫ সালের বিশ্বকাপের সেমি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে বল করেছিলেন বিরাট। সেই ম্যাচে ১ ওভারে ৭ রান দিয়েছিলেন তিনি।
[আরও পড়ুন: বড় ধাক্কা! গোড়ালিতে চোট পেয়ে মাঠের বাইরে হার্দিক, বাকি ওভার সারলেন বিরাট]
তবে একদিনের ক্রিকেটে বিরাট শেষ বার বল করেছেন ছয় বছর আগে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে কলম্বোর সেই ম্যাচে ২ ওভারে ১২ রান দিয়েছিলেন তিনি। এর পর চার বার টেস্টে এবং এক বার টি-টোয়েন্টিতে বল করেছেন তিনি। ২০২২ সালের ৩১ আগস্ট শেষ বার আন্তর্জাতিক ম্যাচে হাত ঘুরিয়েছিলেন বিরাট। বিপক্ষে ছিল হংকং। এশিয়া কাপের ম্যাচে বিরাট ১ ওভারে ৬ রান দেন।
১১১টি টেস্টে মাত্র ২৯.১ ওভার বোলিং করেছেন তিনি। মোট ৮৪ রান দিয়েও কোনও উইকেট পাননি। এদিকে ২৮৫টি একদিনের ম্যাচে মোট ১০৭.২ ওভার বল করেছেন বিরাট। ৬৬৭ রান দিয়ে নিয়েছেন মাত্র ৪ উইকেট। টেস্ট ও একদিনের ফরম্যাটের সঙ্গে টি-টোয়েন্টিতেও হাত ঘুরিয়েছেন ‘কিং কোহলি’। ১১৫টি ম্যাচে রান দিয়েছেন ২০৪। ২৫.২ ওভার হাত ঘুরিয়ে নিয়েছেন মাত্র ৪টি উইকেট।