ইংল্যান্ড: ২৫৯/১০ (বাটলার-৬০, হার্দিক- ২৪/৪, চাহাল-৬০/৩)
ভারত: ২৬১/৫ (পন্থ-১২৫*,হার্দিক-৭১)
৫ উইকেটে জয়ী ভারত, ২-১-এ সিরিজ জিতল ‘টিম ইন্ডিয়া’
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঋষভ পন্থের (Rishabh Pant) দুর্দান্ত সেঞ্চুরির সৌজন্যে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ানডে সিরিজ জিতল ভারত (India)। কিন্তু ভারতের সিরিজ জয়ের দিনেও রানে ফিরলেন না বিরাট কোহলি (Virat Kohli)। অথচ রবিবার ম্যাঞ্চেস্টারে কোহলির দিকেই তাকিয়ে ছিলেন সবাই। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সিরিজ নির্ণায়ক ম্যাচে এমন পরিস্থিতিতে ব্যাট করতে নেমেছিলেন, যখন দল তাঁর কাছ থেকে রান চাইছিল। ইংল্যান্ডের (England) রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ফিরে গিয়েছেন ওপেনার শিখর ধাওয়ান (১)। রোহিত শর্মার সঙ্গে যোগ দেন কোহলি। সেই জুটি দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। টপলি ধাক্কা দেন ভারতের ইনিংসে। ধাওয়ান, রোহিতকে (১৭) ফেরান বাঁ হাতি টপলি। সেই তিনিই কোহলির ঘাতক হয়ে দেখা দিলেন। টপলির বলে কোহলিকে (১৭) উইকেটের পিছনে তালুবন্দি করেন বাটলার। দ্রুত তিন উইকেট হারায় ভারত। স্কোর বোর্ডে ভারতের রান তখন ৩৮।
ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে সূর্যকুমার যাদবকে বলা হয় ক্রাইসিস ম্যান। আইপিএলেও দেখা গিয়েছে যখনই দল বিপদে পড়েছে, তখনই তাঁর ব্যাট কথা বলেছে। সূর্য এদিন ব্যর্থ। মাত্র ১৬ রান করে ফেরেন তিনি। ৪ উইকেটে ৭২, এই অবস্থা থেকে ভারতের ইনিংসকে টানার কাজ করেন ঋষভ পন্থ ও হার্দিক পান্ডিয়া। অবিশ্বাস্য ব্যাটিং করেন এই দুই ব্যাটার। পন্থ ও পান্ডিয়া জুটিই ভারতকে টেনে তোলে। তার পরে দুই তারকা ভারতকে নিয়ে গেলেন জয়ের রাস্তায়।
[আরও পড়ুন: ক্রিকেট থেকে সাময়িক বিরতি! স্টোকসদের সঙ্গে সিরিজ শেষের পরেও ইংল্যান্ডেই থাকবেন কোহলি]
হার্দিক পান্ডিয়ার নেতৃত্বে এবারের আইপিএল জিতেছে গুজরাট টাইটান্স। অসম্ভব পরিণত ক্যাপ্টেন্সি করেছেন তিনি। এদিন অবশ্য শেষটা তাঁর ভাল হল না। ১৩৩ রান জুড়েছিলেন তিনি এবং পন্থ। কিন্তু ব্যক্তিগত ৭১ রান করার পরে হতশ্রী শট খেলে আউট হন পান্ডিয়া। কিন্তু যে পথ তৈরি করে দিয়েছিলেন পন্থ ও পান্ডিয়া, সেই পথ ধরেই মসৃণ গতিতে এগিয়ে গেল ভারতীয় ব্যাটিং। অসম্ভব দামি সেঞ্চুরি করলেন পন্থ। এতদিন তাঁর ব্যাটিং নিয়ে সমালোচনাই হয়েছে। এদিন পরিণত ইনিংস খেললেন ভারতের উইকেট কিপার। পন্থ টিকে ছিলেন বলেই পান্ডিয়া ফেরার পরেও এতটুকু চাপ অনুভব করেনি ভারত। ঋষভ পন্থ খেললেন অপরাজিত ১২৫ রানের ইনিংস। পাঁচ উইকেটে ম্যাচ জিতে নিল ভারত। সেই সঙ্গে ২-১-এ সিরিজও।
এদিন অবশ্য টস জিতে ইংল্যান্ডকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান রোহিত শর্মা। জনি বেয়ারস্টো (০) খাতা খুলতে পারেননি। জো রুটও রান না করেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দুই ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফিরিয়ে ইংল্যান্ডকে শুরুর ধাক্কা দেন মহম্মদ সিরাজ। জেসন রয় ও বেন স্টোকস ইংল্যান্ডের ইনিংস গোছানোর কাজ শুরু করেন। কিন্তু দলীয় রান যখন ৬৬, তখন জেসন রয়কে (৪১) ফেরান হার্দিক পান্ডিয়া। বেন স্টোকসও (২৭) পান্ডিয়ার শিকার। এরপর বাটলার ও মইন আলি ইংল্যান্ডের ইনিংস টেনে নিয়ে নেওয়ার কাজ শুরু করেন। দলীয় ১৪৯ রানের মাথায় আউট হন মইন আলি (৩৪)। লিভিংস্টোন ও বাটলার ইংল্যান্ডকে নিয়ে যান ১৯৮ রানে। লিভিংস্টোন (২৭) ফেরেন পান্ডিয়ার বলে। বাটলারও (৬০) পান্ডিয়ার শিকার। শেষের দিকে ওভারটন (৩২) ও উইলির (১৮) জন্য ইংল্য়ান্ড করে ২৫৯ রান। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে পান্ডিয়া ৪টি উইকেট নেন। চাহাল নেন তিনটি উইকেট। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে পন্থের ব্যাটিং দাপটে বিলেতে উড়ল ভারতের বিজয়কেতন।