ভারত (প্রথম ইনিংস): ৩২৭/১০ (রাহুল-১২৩, মায়াঙ্ক-৬০, এনগিডি-৭১/৬)
দক্ষিণ আফ্রিকা (প্রথম ইনিংস): ১৯৭/১০ (বাভুমা ৫২, শামি ৫/৪৪)
ভারত (দ্বিতীয় ইনিংস): ১৬/১ (রাহুল অপরাজিত ৫, জ্যানসেন ১/৪)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মর্নিং শোজ দ্য ডে। দক্ষিণ আফ্রিকার (South Africa) সঙ্গে প্রথম টেস্টের প্রথম দিনের শেষে ভারত আশা জাগিয়েছিল। কিন্তু বৃষ্টিতে দ্বিতীয় দিনের খেলা ভেসে যাওয়ার পরে তৃতীয় দিনের শুরুতে রাহুল (KL Rahul) আউট হতেই যখন হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল ভারতের বাকি ব্যাটিং, তখন প্রাচীন প্রবাদ মনে পড়েছিল অনেকের। মনে হয়েছিল বুঝি এবার ব্যাট হাতেও কোহলিদের (Virat Kohli) দিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেবেন প্রোটিয়ারা। কিন্তু যাবতীয় জল্পনা ও প্রবাদকে মিথ্যে প্রমাণিত করে দিনের শেষে চালকের আসনে টিম ইন্ডিয়াই। তৃতীয় দিনের শেষে ১৪৬ রানের লিড নিলেন বিরাট কোহলিরা। মায়াঙ্ক আগরওয়াল মাত্র ৪ রানে ফিরে গিয়েছেন। তাঁর উইকেট নিয়েছেন জ্যানসেন। তৃতীয় দিনের শেষে ক্রিজে রয়েছেন লোকেশ রাহুল (৫) ও শার্দূল ঠাকুর (৪)। দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতের রান এক উইকেটে ১৬।
তার আগে ডিন এলগারদের চেপে ধরেন শামিরা। মাত্র ৩২ রানে পড়ে যায় ৪ উইকেট। সেই আঘাত আর সেভাবে সামলাতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে টেম্বা বাভুমা (৫২) ও কুইন্টন ডি’কক (৩৪) লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন। তাঁরা না দাঁড়ালে স্বভূমে আরও বিশ্রী পরিস্থিতিতে পড়তে হত প্রোটিয়াদের। কিন্তু সেই লড়াই সম্মান বাঁচাতে যথেষ্ট হলেও ম্যাচ বাঁচানোর পক্ষে যথেষ্ট হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। ১৯৭ রানেই মুড়িয়ে গিয়ে ১৩০ রানে পিছিয়ে পড়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা। খুব বেশি অঘটন না ঘটলে ম্যাচে শেষ হাসি হয়তো হাসতে চলেছে কোহলি বাহিনীই। অবশ্য দিল্লি এখনও বহুদূর!
[আরও পড়ুন: এসসি ইস্টবেঙ্গল থেকে বিদায় দিয়াজের, অন্তর্বর্তী কোচ রেনেডি সিং]
টেস্টের প্রথম দিন লোকেশ রাহুল সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। ১২২ রানে অপরাজিত ছিলেন দিনের শেষে। তাঁর ব্যাট থেকে আরও বড় রান আশা করেছিলেন সমর্থকরা। কিন্তু এদিন মাত্র এক রান জোড়েন রাহুল। রাবাদা ফেরান তাঁকে। অজিঙ্ক রাহানে ৪০ রানে অপরাজিত ছিলেন প্রথম দিনের শেষে। এদিন তিনিও মাত্র ৮ রান করেই প্যাভিলিয়নের পথে। বাকিরা শুধু এলেন আর গেলেন। পন্থ, অশ্বিন, শার্দূল, মহম্মদ শামি, সিরাজ কেউই দু’ অঙ্কের রানে পৌঁছতে পারেননি। জশপ্রীত বুমরা কেবল ১৪ রান করেন। খুব বেশি রান না করায় শুরু থেকেই ভারতীয় বোলাররা দাপট দেখান। শামির বিষাক্ত ডেলিভারির উত্তর ছিল না দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটসম্যানদের কাছে। দুশো রানও করতে পারেনি প্রোটিয়ারা।