সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘ফ্লাইং কাইট’। যুবভারতীতে সেমিফাইনালের দ্বিতীয় পর্বের ম্যাচে গ্যালারিতে ব্যানার লিখে এনেছিলেন মোহনবাগান সমর্থকরা। আসলে শিমলার গ্রাম থেকে উঠে আসা বিশাল কাইথ চলতি মরশুমে মোহনবাগান সমর্থকদের ‘বিশাল’ ভরসার জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছেন। সেমিফাইনালেও তাঁর দস্তানায় ভরসা রেখেই পাল তুলেছিল সবুজ-মেরুনের নৌকা। ফাইনালেও সেই বিশালই রক্ষা করলেন মোহনবাগানের (Mohun Bagan) দুর্গ। হয়তো অভেদ্য প্রাচীরের মতো নয়, কিন্তু ঠিক যেসময় দরকার ছিল, সেসময় জ্বলে উঠলেন বিশাল। ফাইনালে আবার তিনি মাত করলেন নিজেরই গুরুকে।
আসলে ভারতীয় ফুটবলে তাঁর আদর্শের নাম গুরপ্রীত সিং সান্ধু (Gurpreet Singh Sandhu)। তাঁর খেলা দেখেই বড় হয়েছেন বিশাল। ঘটনাচক্রে ফাইনালে বিশালের প্রতিপক্ষের আসনে ছিলেন সেই গুরপ্রীতই। কিন্তু গুরু যেটা পারলেন না সেটাই করে দেখালেন শিষ্য। বেঙ্গালুরুর (Bengaluru FC) অভিজ্ঞ তারকা ব্রুনোর পেনাল্টি ঝাঁপিয়ে রুখে দিলেন বিশাল। মহাগুরুত্বপূর্ণ তৃতীয় পেনাল্টি আটকে দিয়ে শুটআউটে মোহনবাগানের স্ট্রাইকারদের উপর থেকে চাপ অনেকটাই কমিয়ে দিলেন তিনি। যার ফলে নাসিরি, লিস্টনদের মতো তরুণরাও পেনাল্টি থেকে সহজেই গোল করলেন। শেষে আবার চাপের মুখে গোল মিস করলেন বেঙ্গালুরুর পেরেজ। অনায়াসে জিতে গেল সবুজ-মেরুন।
[আরও পড়ুন: নাতু নাতু গানে নাচ গাভাসকরের, রিল জাদেজা-অশ্বিনের, অস্কার জয় উদযাপনে ব্যস্ত ক্রিকেটাররা]
শুধু পেনাল্টি নয়, গোটা ম্যাচেই গুরপ্রীতের থেকে অনেক বেশি আত্মবিশ্বাসী দেখাচ্ছিল বিশালকে (Vishal Kaith)। যখনই আউটিংয়ে গিয়েছেন অনেক বেশি নিশ্চিত দেখিয়েছে। বেশ কয়েকটি দূরপাল্লার শটও অনায়াসেই বাঁচিয়ে দিয়েছেন তিনি। বিশেষ করে জাভির ফ্রি-কিক থেকে সেভ তাৎপর্যপূর্ণ। বিশালের এই নিশ্চিত পারফরম্যান্স মোহনবাগান রক্ষণের সূত্রধর হয়ে থেকে গেল। সেটাই দিনের শেষে আটকে দিল রয় কৃষ্ণ, সুনীল ছেত্রীদের।
[আরও পড়ুন: ED’র বিরুদ্ধে হেনস্তার অভিযোগ, রক্ষাকবচ চেয়ে হাই কোর্টে সরকারি প্যানেলভুক্ত আইনজীবী সঞ্জয় বসু]
বিশালের অনবদ্য পারফরম্যান্সের পর অবশ্যই আরেকজনের নাম বলতে হয়। তিনি দিমিত্রস পেত্রাতস। এদিন মোহনবাগানের আক্রমণভাগে অবিশ্বাস্য লড়াই করে গেলেন তিনি। গোটা ম্যাচে ৩ বার পেনাল্টি মারলেন পেত্রাতস। আর তিনবারই পরাস্ত করেছেন ভারতের এক নম্বর গোলরক্ষককে।