সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরোনো ক্লাব বার্সেলোনায় (FC Barcelona) ফেরার ইচ্ছা ছিল। এখনও আছে। কিন্তু কার্যক্ষেত্রে সেটা হয়ে ওঠেনি বার্সা কর্তৃপক্ষের অনিচ্ছার জন্যই। অন্তত লিওনেল মেসি তেমনটাই দাবি করছেন। পুরনো ক্লাবের প্রতি তাঁর তিক্ততা হয়তো নেই। কিন্তু অভিমান ঠিকরে পড়ছে তাঁর কথায়।
মিয়ামিতে যোগ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিশ্চিত করার পর লিও (Leo Messi) বলছিলেন, “আমি প্রথমেই চেয়েছিলাম বার্সাতে ফিরতে। ইউরোপের অন্য কোনও ক্লাবের হয়ে খেলব না বলেই ঠিক করেছি। বার্সাকে মিস করি অবশ্যই। পিএসজি-তে থাকার সময়ও মিস করেছি। কিন্তু এই মুহূর্তে বার্সা আমাকে সই করানোর মতো চূড়ান্ত পর্যায়ে নেই। হয়ত চেষ্টা করলেও আমাকে ফিরেও আসতে হত। এই রকম অনিশ্চিয়তার পরিস্থিতির জন্যই আমাকে সরে আসতে হল। হয়তো বোর্ডের কেউ কেউ আছেন যারা মনে করেন আমি ফিরে আসলে বেশ কিছু সমস্যায় পড়তে পারে ক্লাব। আমার প্রস্তাবটি ওদের সঙ্গে মৌখিক আলোচনা হলেও লিখিত আকারে বা পেশাদারিভাবে কোনও কিছুই চূড়ান্ত করেনি ওরা।”
[আরও পড়ুন: মণিপুর হিংসার রেশ এবার দিল্লিতে, অমিত শাহর বাংলোর সামনে বিক্ষোভ কুকিদের]
মেসি বলছেন, আগামী দিনে বার্সায় ফিরতে চান তিনি। কিন্তু আগেরবার যেভাবে চোখের জলে প্রিয় ক্লাব ছাড়তে হয়েছিল, সেটার পুনরাবৃত্তি তিনি চান না। লিও বলছিলেন, “ফিরতে পারলে ভালোই লাগবে। বার্সায় ফিরতেও চাই, কিন্তু অপরপক্ষে আরও একটি বিষয় ভাবি গতবার যেভাবে গতবার চোখের জলে বার্সাকে বিদায় জানাতে হয়েছে, সেই পরিস্থিতি আর চাই না। বরং নিজের পরিবার এবং পারিপার্শ্বিক সবকিছু ভেবে নিজের সিদ্ধান্ত নিজেই নিতে চেয়েছি তারপর থেকে। শুনেছি আমাকে নিতে গিয়ে ওঁরা বেশকিছু ফুটবলারকে ছেড়ে দেবে। অনেক ফুটবলারের পারিশ্রমিক কমার কথাও শুনেছি। এটা আমিও চাইনি। বার্সাতে থাকার সময় বেশকিছু অভিযোগ আমার ওপর এসেছে। যা সত্যি ছিল না। এই সব ঘটনার মধ্যে দিয়ে যেতে গিয়ে আমি বড়ই ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। কোনও ঝগড়া করতে চাইনি। তাই প্যারিসে চলে এসেছিলাম। দীর্ঘদিন পরিবারের সঙ্গে হোটেলে কাটিয়েছি। এখান থেকেই আমার বাচ্চারা স্কুলে গিয়েছে প্রতিদিন। তারপর মনে হয়েছে এখন আর এবাবে বার্সায় না যাওয়াই শ্রেয়। পরিবারের কথা ভেবেছি।”
[আরও পড়ুন: ১২ বছরের গণধর্ষিতার মৃত্যু যোগীরাজ্যে, ধর্ষকদের আশ্রয় দিচ্ছে বিজেপি’, কটাক্ষ অখিলেশের]
মেসির নতুন ক্লাব মিয়ামিতে একসময় খেলে গিয়েছেন ডেভিড বেকহ্যাম (David Beckham)। তিনি এই ক্লাবের কিছুটা শেয়ারের মালিকও। শোনা যাচ্ছে, লিও মিয়ামিতে যোগ দিলে তাঁকেও ক্লাবের খানিকটা শেয়ার ছেড়ে দেবে মালিকপক্ষ। অর্থাৎ অবসর নেওয়ার পর মিয়ামির সহ-মালিক হয়ে যাবেন তিনি। সেই সঙ্গে মেসি যোগ দিলে অ্যাডিডাস এবং অ্যাপলের স্পনসরশিপ চুক্তিরও একটা অংশ যাবে লিওর পকেটে। তার সঙ্গে বিরাট অঙ্কের বেতন তো রয়েইছে। সেটার পরিমাণ শোনা যাচ্ছে ১৫ কোটি মার্কিন ডলার।