shono
Advertisement

জীবনের দৌড় থেমে গেল মিলখা সিংয়ের, ৯১ বছর বয়সে প্রয়াত কিংবদন্তি

স্ত্রী চলে গিয়েছিলেন দিন পাঁচেক আগেই। এবার জীবনযুদ্ধে হার মানলেন 'উড়ন্ত শিখ'ও।
Posted: 12:54 AM Jun 19, 2021Updated: 04:12 PM Jun 19, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘উড়ন্ত শিখ’ নামেই তিনি পরিচিত ছিলেন। রোম অলিম্পিকে মাত্র ০.১ সেকেন্ডের জন্য ব্রোঞ্জ পদক জিততে পারেননি। সেই মিলখা সিং (Milkha Singh) আর নেই। শরীরে কোভিড থাবা বসানোর ৩০ দিনের মাথায় প্রয়াত হলেন ‘পদ্মশ্রী’ মিলখা।মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৯১। বাবার চলে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন ছেলে জিভ মিলখা সিং। কিংবদন্তি অ্যাথলিটের প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ক্রীড়াজগত। শোকজ্ঞাপন করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও। 

Advertisement

গত ২০ মে কোভিড (CoronaVirus) আক্রান্ত হয়েছিলেন মিলখা। তাঁর বাড়ির দুই পরিচারক করোনা সংক্রমিত হয়েছিলেন। বাড়ির অন্যান্যদের করোনা পরীক্ষার ফল নেগেটিভ এলেও, মিলখার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িও ফিরে এসেছিলেন।করোনা থেকে সুস্থ হওয়ার পরও বিভিন্ন শারীরিক সমস্যায় ভুগছিলেন মিলখা। এর মধ্যেই দিন পাঁচেক আগে স্ত্রী নির্মল কৌর প্রয়াত হন।তিনিও কোভিডে আক্রান্ত হয়েছিলেন।বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফের অসুস্থ হয়ে পড়েন মিলখা। রক্তে কমে যায় অক্সিজেনের মাত্রা। গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। সঙ্গে ছিল জ্বর। চণ্ডীগড়ের একটি হাসপাতালের আইসিইউ-তে রাখা হয় তাঁকে। শুক্রবার সন্ধে থেকে তাঁর শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়। শেষপর্যন্ত আর যুঝতে পারেনি তাঁর শরীর। 

[আরও পড়ুন: এবার মাঠের বাইরেও রেকর্ড, বিশ্বের প্রথম ব্যক্তি হিসেবে অনন্য কীর্তি রোনাল্ডোর]

[আরও পড়ুন: টোকিও অলিম্পিকের দল ঘোষণা করল ব্রাজিল, বাদ নেইমার]

পাঞ্জাবের গোবিন্দপুর গ্রামে হতদরিদ্র এক পরিবারে মিলখার জন্ম। দারিদ্র্য এতটাই যে অন্য কিছু ভাবার অবকাশ কারও ছিল না। কোনওভাবে বেঁচে থাকাটাই ছিল বড় ব্যাপার। ১৯৫৮ সালের কমনওয়েলথ গেমসে দেশকে সোনার পদক এনে দেন মিলখা। রোম অলিম্পিকের (১৯৬০) ফাইনালে উঠেছিলেন। ফোটো ফিনিশে অল্পের জন্য অলিম্পিক পদক হাতছাড়া হয় তাঁর। কিন্তু ৪০০ মিটারে তাঁর সেই দৌড় ভারতীয় অ্যাথলেটিক্সকে পৌঁছে দিয়েছিল এক অন্য উচ্চতায়। এশিয়ান গেমস থেকে জেতেন চার-চারটি সোনা। 

পরবর্তীকালে তৈরি হয় মিলখার বায়োপিক ‘ভাগ মিলখা ভাগ’ (Bhaag Milkha Bhaag)।কিংবদন্তি অ্যাথলিটের ভূমিকায় অভিনয় করেন ফারহান আখতার। সেই ছবিতে দেখানো হয়, কিশোর মিলখার চোখের সামনেই হত্যা করা হচ্ছে তাঁর মা-বাবা এবং ভাইবোনদের। জীবনের শেষ মুহূর্তের ঠিক আগে মিলখার বাবা চিৎকার করে বলেন, ‘ভাগ মিলখা ভাগ’। জীবন বাঁচাতে দৌড় শুরু করেন মিলখা। সেই দৌড় থেমে গেল শুক্রবার।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement