সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪৮ ঘণ্টা আগে কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচেই বোঝা গিয়েছিল চোট ক্রমশ ভোগাচ্ছে রজার ফেডেরারকে। সেমিফাইনালে সেই চোটেই কাবু টেনিস সম্রাট। টেনিস কোর্টের রাজাকে স্ট্রেট সেটে হারিয়ে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে পা রাখলেন নোভাক জকোভিচ (Novak Djokovic)। বৃহস্পতিবার রড লেভার এরিনায় মুখোমুখি হয়েছিলেন ফেডেরার (Roger Federer) এবং জকোভিচ। সেই প্রতীক্ষিত সেমিফাইনালে ফেডেক্সকে একপ্রকার উড়িয়েই দিলেন জোকার। তিনি জিতলেন ৭-৬(৭-১), ৬-৪, ৬-৩ পয়েন্টের ব্যবধানে।
এদিন শুরুটা অবশ্য ভালই করেছিলেন ফেডেরার। প্রথম সেটে জোকারের সার্ভিস ব্রেক করে ৪-১ পয়েন্টে এগিয়েও যান রজার। কিন্তু, তারপরই বদলে যায় খেলা। ক্লান্তি হোক, আর চোটের জন্যই হোক। ক্ষীপ্রতা হারিয়ে ফেলেন ফে়ডেরার। সুযোগ পেয়ে দুর্দান্ত কামব্যাক করেন জোকার। প্রথম সেট তিনি জেতেন টাই ব্রেকে। দ্বিতীয় ও তৃতীয় সেটে অবশ্য রজারকে দাঁড়াতেই দেননি জোকার। শেষ দুই সেটেই একাধিকবার ফেডেরারের সার্ভিস ব্রেক করেছেন তিনি। দুটি সেট জোকার জিতে নিয়েছেন ৬-৪, ৬-৩ পয়েন্টের ব্যবধানে।
[আরও পড়ুন: টেনিস কোর্টে অন্য মেজাজে অভিজিৎ, নোবেলজয়ীর ফিটনেস দেখে মুগ্ধ জয়দীপ মুখোপাধ্যায়]
এই ম্যাচে নামার আগে অবশ্য ফেডেক্সের থেকে জোকারকে এগিয়েই রাখছিলেন বিশেষজ্ঞরা। তার কারণ অনেকগুলো। প্রথমত, দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন জোকার। সেমিতে নামার আগে মাত্র একটা সেট খুইয়েছেন তিনি। দ্বিতীয়ত, গতবছর এটিপি ফাইনালে স্ট্রেট সেটে উড়িয়ে দিয়েছিলেন ফেডেরারকে। তৃতীয়ত, সার্বিক পরিসংখ্যানেও ফেডেক্সের থেকে কিছুটা এগিয়ে তিনি। মোট ৫০ সাক্ষাতের মধ্যে ২৬-২৩-এ এগিয়ে জকোভিচ। চতুর্থত, রেকর্ড বলছে অস্ট্রেলিয়া ওপেনের সেমিতে খেলা মানেই জকোভিচের চ্যাম্পিয়ন হওয়া নিশ্চিত। তাই সাতবার চ্যাম্পিয়ন হওয়া জকোভিচের পিছনে আগে থেকেই বাজি ধরছিলেন বিশেষজ্ঞরা।
[আরও পড়ুন: গ্র্যামির মঞ্চে স্মরণ প্রয়াত ব্রায়ান্টকে, সোশ্যাল মিডিয়ায় শোকপ্রকাশ ট্রাম্প-ওবামার]
জিতেও অবশ্য ফেডেরারকে সমীহ করছেন জোকার। তিনি বলছেন, “ওঁর মতো কিংবদন্তিকে সম্মান জানাতেই হবে। ওঁ হয়তো চোটের জন্য ঠিকমতো নড়াচড়া করতে পারছিলেন না।” ফেডেক্সের এই বিদায়ে অনেকটাই জৌলুশ হারালে অজি ওপেন। এর আগেই নাদাল, উইলিয়ামসরা বিদায় নিয়েছেন। এবার বিদায় নিলেন ফেডেক্সও।
The post চোটই কাল! জকোভিচের কাছে হেরে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন থেকে বিদায় ফেডেরারের appeared first on Sangbad Pratidin.