সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কখন দেশে ফিরবেন সোনার ছেলে। সেই অপেক্ষাতেই ছিলেন ভারতীয়রা। প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে দিল্লি বিমানবন্দরে পা রাখতেই উৎসবের মেজাজ। নীরজ চোপড়া, বজরং পুনিয়া, লভলিনাদের জমকালো স্বাগত জানালেন অনুরাগীরা। বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরাও। দেশবাসীর ভালবাসা পেয়ে আপ্লুত অলিম্পিকে পদক তারকারা।
পদকজয়ীদের দেখতে বিমানবন্দরে ছিল উপচে পড়া ভিড়। যার জন্য অশোক হোটেলে সংবর্ধনা অনুষ্ঠান শুরু হতে বেশ খানিকটা দেরিই হয়। নীরজ, পুনিয়া, লভলিনা, সিন্ধু, চানুদের হোটেলে সংবর্ধনা জানান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরেণ রিজিজু, কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর, কেন্দ্রীয় ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকরা। তাঁদের প্রশংসা করে বক্তব্য রাখার সময় চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি উচ্ছ্বসিত রিজিজু। এমন অভ্যর্থনা পেয়ে আপ্লুত নীরজরাও। সোনাজয়ী ভারতীয় জ্যাভলিন থ্রোয়ার বলে দেন, “নিজের ১০০ শতাংশ দেওয়ার চেষ্টা করেছিলাম। তবে ভাবিইনি সোনা জিতব। মানুষের এতটা ভালবাসা পেয়ে ভীষণ ভাল লাগছে।”
[আরও পড়ুন: দেশে নেমেই জমকালো সংবর্ধনা পেলেন পদকজয়ী নীরজরা, Xaomi দিল আকর্ষণীয় উপহার]
মেয়ের সঙ্গে দেখা করতে দিল্লি পৌঁছে গিয়েছিলেন লভলিনার বাবাও। তাঁদের স্বাগত জানাতে যে এমন এলাহি আয়োজন হতে পারে, তা কল্পনাও করতে পারেননি অসমের বক্সার।
এদিকে প্রত্যেক ভারতীয় পদকজয়ীকে মোবাইল ফোন উপহার দিচ্ছে শাওমি। চিনা সংস্থা জানিয়েছে, পদক জিতে ভারতকে গর্বিত করেছেন অ্যাথলিটরা। পুরস্কার স্বরূপ, প্রত্যেকের হাতে Mi 11 Ultra স্মার্টফোন তুলে দেওয়া হবে।
তবে অ্যাথলিটদের অভিনন্দন জানিয়ে আর্থিক পুরস্কারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া নিয়ে কেন্দ্র তথা বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের একহাত নিলেন রাহুল গান্ধী। তাঁর কথায়, ভিডিও কল করে শুভেচ্ছা জানানোর পালা শেষ। এবার অ্যাথলিটদের জন্য ঘোষিত অর্থ দেওয়া উচিত। এমনকী, অতীতেও যে অর্থ পুরস্কার ঘোষণা করে তা দেওয়া হয়নি, সে কথাও উল্লেখ করেন কংগ্রেস নেতা।