সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: টোকিও অলিম্পিকে (Tokyo Olympics 2020) পদকজয়ী প্রত্যেক ভারতীয় অ্যাথলিটকে ফোন করে শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Modi)। প্যারালিম্পিকেও তার ব্যতিক্রম হল না। মোদির শহরের মেয়ের হাত ধরেই চলতি গেমসের প্রথম পদকটি এসেছে ভারতের ঘরে। তাই রুপো জয়ের পরই ভবিনাকে শুভেচ্ছা জানাতে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী।
মাত্র এক বছর বয়সেই পোলিয়োয় আক্রান্ত হয়েছিলেন ভবিনা (Bhavinaben Patel)। ধীরে ধীরে শরীরের নিচের অংশ অবশ হতে থাকে। সে সময় প্রয়োজনীয় চিকিৎসার সামর্থ্য ছিল না মধ্যবিত্ত পরিবারটির। তবে মেয়েকে সুস্থ করে তোলার যথাসাধ্য প্রয়াশ করেছিলেন ভাবিনার বাবা। মেয়েকে বিশাখাপত্তনমে চিকিৎসা করাতে নিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু কাজে লাগেনি অস্ত্রোপচার। কারণ যে রিহ্যাব করতে দেওয়া হয়েছিল, তা ঠিক মতো অনুসরণ করেননি ভবিনা। তাই চিরকালীন সঙ্গীতে পরিণত হয়েছে হুইলচেয়ার। তবে প্রতিবন্ধকতাকে কখনওই বাধা হয়ে দাঁড়াতে দেননি ভবিনা। ফিট থাকতেই প্রথম টেবিল টেনিস শুরু করেছিলেন তিনি। বাকিটা ইতিহাস। থাইল্যান্ড ওপেন প্যারা টেবিল টেনিসে রুপো থেকে প্যারা টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে সোনা-সহ একগুচ্ছ পদক ঝুলিতে ভরেছেন গুজরাটের অ্যাথলিট। এবার অলিম্পিকেও গর্বিত করলেন দেশকে। ফোনে ভবিনার প্রশংসা করে মোদি বলেন, “তুমি ইতিহাস রচনা করেছ। আগামিদিনের জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা।”
[আরও পড়ুন: India vs England: লজ্জার হারের পরই হাসপাতালে জাদেজা, কেমন আছেন অলরাউন্ডার?]
প্রধানমন্ত্রীর পাশাপাশি টুইটারে রুপোর মেয়েকে অভিনন্দন জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী থেকে অনেকেই। উচ্ছ্বসিত ভারতীয় প্যারালিম্পিক কমিটির সভাপতি দীপা মালিকও। জাতীয় ক্রীড় দিবসে ভারতকে রুপো এনে দেওয়ায় ভবিনাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন তিনি। নিজের এই সাফল্যে খুশি ভবিনাও। বলেন, “এই পদক আমি দেশকে উৎসর্গ করতে চাই। সবসময় আমার পাশে থাকার জন্য কোচ, পরিবার আর বন্ধুদের অনেক ধন্যবাদ। ফাইনালে একটু নার্ভাস ছিলাম। পরেরবার নিজের সেরাটা উজার করে দেব।”
এদিকে গুজরাটের (Gujarat) মেহসানায় ভবিনার বাড়িতে রীতিমতো উৎসবের আমেজ। পাড়া, প্রতিবেশীদের মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন তাঁর বাবা-মা। বাবা হাসমুখভাই প্যাটেল বলেন, “ও আমাদের গর্বিত করেছে। ওকে দারুণভাবে স্বাগত জানানো হবে।” রুপোর মেয়ের জন্য গুজরাট সরকারের তরফে ৩ কোটি টাকা আর্থিক পুরস্কার ঘোষণা করা হয়েছে।