পর্তুগাল: ৬ (র্যামোস ৩, পেপে, রাফাল, লিয়াও)
সুইজারল্যান্ড: ১ (আকাঞ্জি)
দুলাল দে, দোহা: অঘটনের বিশ্বকাপে (Qatar World Cup) প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল ম্যাচ। ফেভারিটদের চমকে দিচ্ছে আন্ডারডগরা। কিন্তু পর্তুগালের (Portugal vs Switzerland) দাপটে প্রায় পাড়ার ফুটবল দলের মতো দেখাল সুইজারল্যান্ডকে। বিপক্ষকে ছয় গোলের মালা পরিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে গেলেন রোনাল্ডোরা। নতুন তারা হয়ে ফুটে উঠলেন গনসালো র্যামোস (Goncalo Ramos)। হ্যাটট্রিক করে তিনিই ম্যাচের নায়ক।
টানা পাঁচটি বিশ্বকাপে গোল করেছেন। সর্বকালের সেরাদের মধ্যে নাম রয়েছে তাঁরও। বিশ্বকাপের নক আউট ম্যাচে সেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোকেই বসিয়ে দেওয়ার সাহস দেখালেন পর্তুগাল কোচ ফের্নান্দো স্যান্টোস। নামিয়ে দিলেন তরুণ র্যামোসকে। মেগা টুর্নামেন্টের মঞ্চে নেমেই র্যামোস বুঝিয়ে দিলেন, কেন রোনাল্ডোর বদলে তিনি দলে রয়েছেন।
ম্যাচের বয়স তখন ১৭ মিনিট। সতীর্থের থ্রো থেকে বুলেটের গতিতে গোলমুখী শট মারলেন র্যামোস। বিপক্ষ গোলকিপারকে নড়ার সময়টুকু না দিয়ে সোজা জালে জড়িয়ে গেল বল। ওখানেই ম্যাচের রঙ পালটে দিল পর্তুগাল। পিছিয়ে পড়েও ফিরে আসার তাগিদ দেখা গেল না জারদান শাকিরিদের মধ্যে।
[আরও পড়ুন: অ্যাটলাস সিংহের দাপটে ডুবল স্প্যানিশ আর্মাডা, নজির গড়ে বিশ্বকাপের শেষ আটে মরক্কো]
দলের প্রথম গোল এল তরুণ তুর্কির পা থেকে। দ্বিতীয় গোলের কারিগর ৩৯ বছর বয়সি পেপে। ৩৩ মিনিটে উড়ে এল কর্নার। সঠিক সময়ে মাপা জাম্প দিয়ে সকলকে ছাপিয়ে উঠে এল পেপের মাথা। ভেসে আসা বলে জোরাল হেড দিয়ে গোলে পাঠিয়ে দিলেন। বিশ্বকাপের নক আউট পর্যায়ে সবচেয়ে বয়স্ক ফুটবলার হিসাবে গোল করলেন তিনি। হাফটাইমের ঠিক আগে ফের গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন র্যামোস। অল্পের জন্য গোলকিপারের আঙুল লেগে বল গোলের বাইরে চলে যায়। প্রথমার্ধে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেও একই রকম আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেন ফার্নান্ডেজরা। ৫১ মিনিটে ফের গোল র্যামোসের। ডানদিকের উইং থেকে ভেসে আসা বলে গোল লক্ষ্য করে নিখুঁত শট মারতে ভুল করেননি বেনফিকার এই তরুণ প্রতিভা। মাত্র ছ’মিনিটের মাথায় আবার গোল পর্তুগালের। জীবনের প্রথম আন্তর্জাতিক গোলটি করলেন রাফাল। ৫৭ মিনিটে ব্যবধান কমায় সুইজারল্যান্ড। আকাঞ্জির গোল অবশ্য পর্তুগিজদের ভুলেই হল। শাকিরির কর্নার থেকে বল এসে পড়ল আকাঞ্জির পায়ে। তাঁকে আটকানোর কেউ ছিলই না গোলে। সময় নিয়ে আলতো করে গোলে বল ঠেলে দেন।
পর্তুগালের স্বপ্নের ম্যাচে বাকি ছিল র্যামোসের হ্যাটট্রিক। ৬৭ মিনিটে সেটাও সেরে ফেললেন এদিনের নায়ক। পর্তুগিজ ভক্তদের সারাজীবন মনে রাখার মতো রাত উপহার দিলেন র্যামোস। আইসিং অন দ্য কেক হিসাবে ৭২ মিনিটে মাঠে নামলেন রোনাল্ডো। তবে ফ্রি-কিক পেয়েও কাজে লাগাতে পারলেন না। সংযুক্ত সময়ে এল লিয়াওয়ের গোল।