সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বলের নিয়ন্ত্রণ বেশিরভাগ সময়েই ছিল রিয়াল মাদ্রিদের (Real Madrid) দখলে। গোলের সুযোগও বেশি তৈরি করে রিয়াল। কিন্তু দিনান্তে আত্মঘাতী গোলে রিয়ালকে ০-১ গোলে হারাল বার্সেলোনা। কোপা দেল রে-র সেমিফাইনালের প্রথম সাক্ষাতে বার্সা জিতল। ম্যাচটি ছিল রিয়াল মাদ্রিদের ঘরের মাঠ স্যান্টিয়াগো বার্নাব্যুতে।
কোপা দেল রে-র সেমিফাইনালের প্রথম সাক্ষাতে বার্সেলোনা জেতার ফলে ফাইনালের টিকিট জোগাড় করার ক্ষেত্রে অনেকটাই এগিয়ে ক্যাটালান ক্লাবটি। ৫ এপ্রিল ফিরতি ম্যাচ দু’ দলের। এর আগে স্প্যানিশ সুপার কাপে মুখোমুখি হয়েছিল বার্সা ও রিয়াল। সেই সাক্ষাতে বার্সা (Barcelona) ৩-১ গোলে হারিয়েছিল রিয়ালকে। ফলে কোপা দেল রে-র এল ক্লাসিকো ছিল রিয়ালের কাছে প্রতিশোধের ম্যাচ। খেলার শুরু থেকেই রিয়াল মাদ্রিদ চাপে রাখে বার্সাকে। মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে রেখেছিল রিয়াল। ভিনিসিয়াস জুনিয়র ফুল ফোটাচ্ছিলেন। ব্রাজিলীয় তারকার পাস থেকে করিম বেঞ্জেমা ১২ মিনিটে গোল করলেও ফরাসি তারকা অফসাইড পজিশনে থাকায় সেই যাত্রায় গোল বাতিল করে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: স্বল্প পুঁজিতে লড়তে পারলেন না অশ্বিনরা, ঘরের মাঠে লজ্জার টেস্ট হার রোহিতদের ]
বার্সার হয়ে এল ক্লাসিকোয় (El Classico) খেলেননি পেড্রি এবং লেওয়নডস্কি। এই দুই তারকা না থাকায় বার্সা কিছুটা ভুগেছে ঠিকই। ম্যাচের ৩০ মিনিটে রিয়াল গোল হজম করে। থিবাও কুর্তোয়া বল বাঁচালেও মিলিতাওয়ের আত্মঘাতী গোলে পিছিয়ে পড়ে রিয়াল। গোল হজম করার পরে রিয়াল মাদ্রিদ সমতা ফেরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু খেলার গতির বিপরীতে গোল হজম করায় রিয়াল কিছুটা এলোমেলো হয়ে যায়।
বিরতির কিছু আগে রিয়াল গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল। টনি ক্রুজের ক্রস থেকে বলে ঠিকঠাক সংযোগ না হওয়ায় সুযোগ নষ্ট করেন রিয়ালের কারভাহাল। বিরতির পরেও রিয়ালের চাপ অব্যাহত থাকে। ৪৯ মিনিটে ভিনিসিয়াস সমতা ফেরাতে পারেননি। ৫৮ মিনিটে ফের ভিনিসিয়াসের প্রচেষ্টা ব্যর্থ করেন বার্সার গোলকিপার স্টেগেন।
রিয়ালের আক্রমণ থেকে বাঁচতে বার্সা নিজেদের পেনাল্টি বক্সের আশেপাশে পায়ের জঙ্গল তৈরি করে। এই সময় বার্সা কাউন্টার অ্যাটাক নির্ভর খেলার উপরে জোর দেয়। ৬৯ মিনিটে প্রতিআক্রমণ থেকে গোল করার মতো পরিস্থিতি তৈরি করেছিল বার্সেলোনা। রাফিনিয়ার ক্রস কাজে লাগানো যায়নি। এর তিন মিনিট বাদেই গোলের সুযোগ ফের তৈরি করে বার্সা। কিন্তু সেই যাত্রায় আর গোল হয়নি। এর পর রিয়াল চাপ আরও বাড়ায়। গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। কিন্তু সমতা ফেরানো আর সম্ভব হয়নি রিয়ালের পক্ষে। ঘরের মাঠে হার মেনে নেয় অ্যানচেলোতির রিয়াল মাদ্রিদ।