দক্ষিণ আফ্রিকা: ১৮৯/২ (ডুসেন-৯৪*, মারক্রাম-৫২*)
ইংল্যান্ড: ১৭৯/৮ (মঈন আলি-৩৭)
১০ রানে জয়ী দক্ষিণ আফ্রিকা
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একেই বলে সর্বস্ব উজার করে লড়াই। শেষ চারে পৌঁছনোর তাগিদে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপাল দক্ষিণ আফ্রিকা। মারকাটারি ইনিংস খেললেন ডুসেন ও মারক্রাম। বল হাতে হ্যাটট্রিক করলেন রাবাদা। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের সাক্ষী থাকল শারজা। কিন্তু এসবই বৃথা গেল। কাঙ্খিত জয় পেয়েও বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গেল প্রোটিয়াবাহিনী। কারণ নেট রান রেটে এগিয়ে সেমিফাইনালের টিকিট পাকা করে ফেলল অস্ট্রেলিয়াই।
চলতি টুর্নামেন্টে সাধারণত দেখা গিয়েছে, শিশিরের কথা ভেবে টস জিতলে ফিল্ডিংকেই বেছে নিচ্ছেন অধিনায়করা। এদিনও তার ব্যতিক্রম হয়নি। টস জিতে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ব্যাট করতে পাঠান ইংলিশ অধিনায়ক ইয়ন মর্গ্যান। তবে প্রোটিয়া ব্যাটিং অর্ডারকে বিশেষ বেগ দিতে ব্যর্থ হন মঈন আলি, আদিল রশিদরা। হেনড্রিস ২ রানে আউট হয়ে ফিরলেও লড়াই চালান কুইন্টন ডি কক (৩৪)। এরপর ক্রিজে জাঁকিয়ে বসেন ডুসেন ও মারক্রাম। তাঁদের বিধ্বংসী পার্টনারশিপে ইংল্যান্ডের সামনে তৈরি হয় পাহাড় প্রমাণ রান। ৯৪ রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন ডুসেন। মারক্রাম করেন ৫২ রান।
[আরও পড়ুন: হাইভোল্টেজ ডার্বিতে আত্মঘাতী গোলেই ডুবল ম্যান ইউ, ৩১ বছর পর লজ্জার রেকর্ড গড়ল দল]
তবে শুধুই ব্যাটিং নয়, বোলিংয়েও আগুন ঝড়ানো পারফরম্যান্স দক্ষিণ আফ্রিকার। শেষ ওভারে তো হ্যাটট্রিক করে দলের জয় নিশ্চিত করে ফেললেন রাবাদা। তবে স্বপ্নের মতো খেলেও খালি হাতেই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে তাঁদের।
ইংল্যান্ড আগেই সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল। লড়াইটা চলছিল অস্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আফ্রিকার মধ্যে। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বড় ব্যবধানে হারানোর সুবাদেই সেমিফাইনালে উঠে গেল অজিবাহিনী। আর ফেভারিট ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে অসাধারণ জয় জলে গেল বাভুমাদের।
এদিকে আগামী বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সুপার ১২-য় সরাসরি জায়গা করে নেওয়া আটটি দলের নাম ঘোষণা করে দিল আইসিসি। এদিন বিশ্ব ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা নিজেদের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে জানায়, আগামী বছর যে আটটি দল সরাসরি ঢুকে পড়ল সুপার ১২-য়, তারা হল অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড, ভারত, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, আফগানিস্তান এবং বাংলাদেশ। অর্থাৎ আগামী বছর ওয়েস্ট ইন্ডিজকে কোয়ালিফায়ারে খেলে সুপার ১২-এ পৌঁছতে হবে।