সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সুপার কাপের (Kalinga Super Cup) ডার্বির পারদ চড়তে শুরু করে দিয়েছে। দুই দলই শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে তুলির টান দিয়েছে। ওয়াকিবাহল মহল বলছে, কিছুটা হলেও এগিয়ে থেকে শুরু করছে ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু ডার্বিতে আগে থেকে কাউকে যে ফেভারিট বলা যায় না। তবে এবারের সুপার কাপে মোহনবাগান (Mohun Bagan) পুরোদস্তুর শক্তিশালী দল নিয়ে যেতে পারেনি। সবুজ-মেরুনের সাত জন ফুটবলার রয়েছেন ভারতীয় দলের সঙ্গে।
এই মুহূর্তে এএফসি এশিয়ান কাপ খেলতে ব্যস্ত তাঁরা। মনবীর সিং, দীপক টাঙ্গরি, অনিরুদ্ধ থাপা, লিস্টন কোলাসো, শুভাশিস বসু, বিশাল কাইথ রয়েছেন ভারতীয় দলের কোচ ইগর স্টিমাচের দলে। কে আশিক চোটের জন্য আগেই ছিটকে গিয়েছেন। এই তারকা ফুটবলারদের অনুপস্থিতি কিন্তু ভাবাবে ক্লিফোর্ড মিরান্ডাকে। গোয়ানিজ কোচ ডার্বির আগেই বলে দিয়েছেন তিনি এসব নিয়ে ভাবতে রাজি নন। তিনি চান দলের প্রত্যেকে যেন একশো শতাংশ দেন।
[আরও পড়ুন: ডার্বির আগে ‘সবুজ মেরুন গান’ হৃদয় ছোঁবে মোহনবাগান সমর্থকদের]
ডার্বি এমন একটা মঞ্চ যা প্রতিষ্ঠা দিয়ে যায় খেলোয়াড়দের। রাজ, আর্শ, কিয়ান নাসিরির মতো জুনিয়র প্লেয়ারদের প্রতিষ্ঠা দিতে পারে কলিঙ্গ সুপার কাপের ডার্বি। সিনিয়রদের পাশাপাশি জুনিয়র ফুটবলারদেরও প্রমাণ করার মঞ্চ এইবড় ম্যাচ।
জুনিয়রদের অভিজ্ঞতার অভাব যদি নেতিবাচক দিক হয়, তাহলে তাঁদের ছটফটানি, তারুণ্যের তেজ কিন্তু ইতিবাচক দিক মোহনবাগানের। সুপার কাপের প্রথম দুটো ম্যাচে দেখা গিয়েছে গোল হজম করে ম্যাচ জিতেছে মোহনবাগান। এটাই বুঝিয়ে দিচ্ছে এই দলের জয়ের তাগিদ রয়েছে। খিদে রয়েছে।
সবুজ-মেরুনের ডিফেন্স সবচেয়ে দুর্বল জায়গা। তবে বড় ম্যাচ সবসময়েই পঞ্চাশ-পঞ্চাশ। নির্দিষ্ট দিন যে দল ভালো খেলবে, সেই দলের মুখেই খেলা করবে হাসি। গোলের জন্য মোহনবাগান নির্ভরশীল কামিন্স, পেত্রাতোস, সাদিকুর উপরে। যে কোনও মুহূর্তে এঁরা ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারণ করতে পারেন।
সুপার কাপে ইস্টবেঙ্গল (East Bengal) প্রথম দুটো ম্যাচ জিতলেও গোল হজম করেছে। গোল হজম করার বদভ্যাস রয়েই গিয়েছে লাল-হলুদ ব্রিগেডের। ডার্বিতে এই বদভ্যাস ভোগাতে পারে কুয়াদ্রাতের দলকে। ইস্টবেঙ্গলের আসল অস্ত্র তাদের কোচ কুয়াদ্রাত। তাঁর অভিজ্ঞতা কাজে লাগবে এই ধরনের বড় ম্যাচে। মোহনবাগানের রিমোট কন্ট্রোল ক্লিফোর্ড মিরান্ডার হাতে। এই জায়গায় কিছুটা হলেও এগিয়ে থাকবে ইস্টবেঙ্গল। গোলের মধ্যে রয়েছেন ক্লেটন। কিন্তু ডার্বির মতো হাইপ্রোফাইল ম্যাচে গোল করেননি ক্লেটন। ব্রাজিলীয় তারকা তৈরি হচ্ছেন। কুয়াদ্রাতের আনা বিদেশি হিজাজি দলের স্তম্ভ হয়ে উঠেছেন। গোল করছেন। কিন্তু ডার্বি ম্যাচ যে এসব হিসেবের ধার ধারে না। ফেভারিট দল হেরে গিয়েছে আবার আত্মবিশ্বাসের তলানিতে থাকা দল ম্যাচ জিতে নিয়েছে। ডার্বির ইতিহাস তাই বলছে।