shono
Advertisement

আর ১০-১৫ দিন ধরে নয়, আগামী বছর থেকে সুপার কাপ হবে গোটা মরশুম ধরেই

আই লিগের ক্লাবগুলোর দিকেও বাড়তি মনোযোগ দেবে ফেডারেশন।
Posted: 04:05 PM Jan 21, 2024Updated: 04:06 PM Jan 21, 2024

দুলাল দে: সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে, এরকম টানা ১৫-২০ দিন ধরে এক জায়গায় আয়োজিত সুপার কাপের এটাই শেষ সংস্করণ। সামনের মরশুম থেকে নতুন সুপার কাপ (Kalinga Super Cup), নতুন ফরম্যাটে। যা ইতিমধ্যে ফেডারেশনের লিগ কমিটির সভায় পাশ করিয়ে নেওয়া হয়েছে। এবার চূড়ান্ত কথা হবে এফএসডিএল এবং ফেডারেশন কর্তাদের মধ্যে। পরিকল্পনা হয়েছে, আর অল্প সময়ের জন্য একটা প্রতিযোগিতা করতে হয় বলে করা নয়। ফলো করা হবে ‘এফএ (FA) কাপ’-এর ফরম্যাটকে। যার অর্থ, সারা বছর ধরেই আইএসএল চলার ফাঁকে ফাঁকে হবে সুপার কাপের ম্যাচ।

Advertisement

প্রতি বছর সুপার কাপ নিয়ে এফএসডিএলের ভাবনা হচ্ছে, আইএসএল শেষ হওয়ার পর এপ্রিল না হলে মে মাসে কোনও একটি ভেনুতে সুপার কাপ আয়োজন করা। মরশুমের শেষে সুপার কাপকে রাখার জন্য, খরচের কথা ভেবে ক্লাবগুলিও আর সেভাবে দল গড়তে চায় না। এএফসি-র লাইসেন্সের জন্য ক্লাবগুলিকে সুপার কাপ খেলতেই হবে। শুধুমাত্র এই বাধ্যবাধকতা থেকেই আইএসএলের অনেক ক্লাব স্রেফ অংশগ্রহণের জন্য সুপার কাপ খেলে। যদি খেলাটা বাধ্যতামূলক না হত, তাহলে অনেক ক্লাবই মরশুম শেষে সুপার কাপের জন্য দল ধরে রাখত না। এছাড়াও একটা বড় সমস্যা ভারতীয় ফুটবলারদের পাওয়া। সারা বছর ধরেই ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি জাতীয় দল নিয়ে ব্যস্ত থাকেন ভারতীয় ফুটবলাররা। এবার টানা ২০ দিন ধরে সুপার কাপ হলে, সেই সময় জাতীয় দলের খেলা থাকলে একাধিক ফুটবলারকে না পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এবারই ভুবনেশ্বরের সুপার কাপে যেমনটা হয়েছে। সুপার কাপ চলছে। কিন্তু একাধিক ক্লাব তাদের সেরা ভারতীয় ফুটবলারকে পাচ্ছে না।

[আরও পড়ুন: পাক অভিনেত্রীকে বিয়ে শোয়েবের, বিচ্ছেদ নিয়ে মুখ খুললেন সানিয়া]

এই সব থেকেই ফেডারেশনের ভাবনা, আইএসএলের পাশাপাশি সারা বছর ধরে হোম-অ্যাওয়ে ভিত্তিতে সুপার কাপ চললে, জাতীয় দলে ফুটবলার ছাড়া নিয়ে সব ক্লাব একসঙ্গে সমস্যায় পড়বে না। ভাবনাটা এরকম, কোনও ক্লাব সপ্তাহের শেষ আইএসএলের ম্যাচ খেললে, সপ্তাহের মাঝে সুপার কাপের একটি ম্যাচ খেলে নেবে। কোনও দল আইএসএলের অ্যাওয়ে ম্যাচ খেলতে গেলে, সেই সময় সুপার কাপেরও একটি ম্যাচ খেলে আসতে পারবে। ফলে কোনও দলেরই মারাত্মক কিছু সমস্যা হওয়ার কথা নয়। তবে ফেডারেশনের মিটিংয়ে যা ঠিক হয়েছে, তাতে কর্তারা চাইছেন, সুপার কাপে শুধুই আইএসএল বা কয়েকটি আই লিগের ক্লাব নয়, আইএসএলের পাশাপাশি আই লিগের ক্লাব এবং আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনের কিছু ক্লাবও খেলুক। তাহলেই একমাত্র সারা দেশে অনেক ফুটবলার একসঙ্গে দেশের সর্বোচ্চ স্তরের প্রতিযোগিতায় খেলার সুযোগ পাবেন।

ফেডারেশনের মিটিংয়ে ঠিক হয়েছে, এবার আই লিগের ক্লাবগুলির দিকে বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হবে। এখন যেহেতু আই লিগের চ্যাম্পিয়ন ক্লাব সরাসরি আইএসএলে সুযোগ পাচ্ছে, তাই আই লিগের ক্লাবগুলির সঙ্গে তাদের পরিকাঠামো বদল নিয়ে কথা বলতে চায় ফেডারেশন। কারণ, আই লিগে নিজেদের পরিকাঠামো, দলের মান, আর্থিক পরিস্থিতি ঠিক না করলে আইএসএলে গিয়ে সমস্যা তৈরি হবে। তাতে দেশের প্রথম সারির প্রতিযোগিতার মানও কমবে। সেই কারণেই ফেডারেশন কর্তারা নিজেদের মধ্যে আলোচনায় ঠিক করেছেন, আই লিগের মান বাড়াতে হবে। তাহলেই একমাত্র দেশের ফুটবলার পরিকাঠামো ঠিক থাকবে। এই সবই ঠিক হয়েছে ফেডারেশনের সভায়। এবার আলোচনা হবে এফএসডিএল কর্তাদের সঙ্গে। তারপরেই পরের বছর থেকে সুপার কাপের ফরম্যাট বদলে ফেলার জন্য চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত।

[আরও পড়ুন: ‘চরিত্রহীন দাদা’, বউদি সানিয়ার পাশে দাঁড়িয়ে শোয়েবকেই কাঠগড়ায় তুললেন বোন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement