পাকিস্তান: ১৭৬-৪ (রিজওয়ান ৬৭, ফকর জামান ৫৫*)
অস্ট্রেলিয়া: ১৭৭-৫ (ওয়েড ৪১*, স্টোয়নিস ৪০*)
অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পারল না পাকিস্তান (Pakistan)। টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের (T20 World Cup) ফাইনালে গেল মরিয়া অস্ট্রেলিয়া (Australia)। অথচ একটা সময়ে মনে হয়েছিল রবিবারের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামবে বাবর আজমের পাকিস্তানই। কিন্তু শেষের দিকে এসে সব হিসেব বদলে গেল। ম্যাথু ওয়েড ও স্টোয়নিস পাকিস্তানের মুখের গ্রাস কেড়ে নিলেন। শাহিন আফ্রিদির মতো বোলারকে তিন-তিনটি ছক্কা মেরে ম্যাচ নিয়ে গেলেন ম্যাথু ওয়েড।
ভাগ্যদেবী কি পাকিস্তানের উপরে বিরূপ ছিলেন? না হলে আফ্রিদির বলে ওয়েডের লোপ্পা ক্যাচ কীভাবে ফেলে দিলেন হাসান আলি! ওই ক্যাচ ধরলে ম্যাচের রং বদলেও যেতে পারত। জীবন ফিরে ফেয়ে ওয়েড তিনবার আফ্রিদিকে গ্যালারিতে ফেললেন। এই ওভার হয়তো আফ্রিদি ভুলে যেতে চাইবেন। ওয়েডের বিস্ফোরণে এক ওভার বাকি থাকতে অজিরা জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। ম্যাথু ওয়েড (৪১*) ও স্টোয়নিস (৪০*) ক্রিজে দাঁড়িয়ে থেকে অসম্ভবকে সম্ভব করেন। এই ম্যাচ যে পাকিস্তান শেষমেশ হেরে যাবে, তা অনেকেই ভাবেননি।
বৃহস্পতিবার টস জিতে পাকিস্তানকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। পাক অধিনায়ক বাবর আজম ও রিজওয়ান জুটি ৭১ রান জোড়েন। বাবর আজম (৩৯) ফেরেন জাম্পার বলে। তিনি আউট হওয়ার পরে রিজওয়ান ও ফকর জামান পাক ইনিংসকে টানেন। ফকর জামান স্ট্রাইক দিচ্ছিলেন রিজওয়ানকে। আর পাক উইকেট কিপার মেজাজে ব্যাট করছিলেন। রিজওয়ান ব্যক্তিগত ৬৭ রানে ফেরেন। পাকিস্তান তখন বেশ ভাল জায়গায়। স্কোরবোর্ড বলছে, ১৭.২ ওভারে ১৪৩ রান। এই অবস্থা থেকে পাকিস্তানের রান আকাশ ছুঁতে পারত। আসিফ আলি, শোয়েব মালিকের মতো বিপজ্জনক ব্যাটসম্যান ছিলেন। কিন্তু এদিন তাঁরা বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। বড় শট খেলতে গিয়ে দ্রুত ফিরতে হয় আসিফ আলি (0) ও শোয়েব মালিককে (১)। পাকিস্তান ১৭৬ রানে পৌঁছয় ফকর জামানের জন্য। ৩২ বলে ৫৫ রানে অপরাজিত থেকে যান। মেরেছেন তিনটি চার ও চারটি বিশাল ছক্কা।
[আরও পড়ুন: বিশ্রামেই বিরাট, বাড়ছে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের অধিনায়কত্ব নিয়ে ধোঁয়াশা]
টি টোয়েন্টি ফরম্যাটে ১৭৬ বেশ কঠিন চ্যালেঞ্জ। বিশেষ করে পাকিস্তানের রয়েছে শাহিন আফ্রিদির মতো বাঁ হাতি পেসার। ভারতের বিরুদ্ধে শুরুতেই ধাক্কা দিয়েছিলেন। সেই ধাক্কা সামলে উঠতে পারেনি ভারত। এদিনও শুরুতেই অ্যারন ফিঞ্চকে (০) তুলে নেন শাহিন আফ্রিদি।শুরুর ধাক্কা কাটিয়ে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংসকে টানার কাজ করছিলেন ওয়ার্নার ও মিচেল মার্শ। শাদাব খানের বলে আউট হন মিচেল মার্শ (২৮)। অস্ট্রেলিয়ার রান তখন ২ উইকেটে ৫২। দ্রুত ফেরেন স্টিভ স্মিথও (৫)। বিপজ্জনক ওয়ার্নার (৪৯) শাদাব খানের শিকার। তবে শাদাবের বল ওয়ার্নারের ব্যাটে লেগেছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। তাঁর মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটার কেন যে রিভিউ নিলেন না, সেটাও বিস্ময়ের। বিপজ্জনক ম্যাক্সওয়েল (৭) বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি। এদিকে উইকেট পড়তে থাকায় আস্কিং রেট বাড়তে থাকে। কিন্তু স্টোয়নিস ও ওয়েড তাতে বিচলিত হননি। বরং মোক্ষম সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে থাকেন তাঁরা। প্রলম্বিত করতে থাকেন ম্যাচ। আফ্রিদির ১৯-তম ওভারে জ্বলে ওঠেন ওয়েড।তিন-তিনটি ছক্কা হাঁকিয়ে অজি সাজঘরে ম্যাচ নিয়ে চলে গেলেন বাঁ হাতি। মরুশহরে স্বপ্ন ভঙ্গ হল পাকিস্তানের।
[আরও পড়ুন: T20 World Cup: ফাইনালে উঠে উল্লসিত সতীর্থরা, তবুও কেন শান্ত নিশাম? জবাব দিলেন নিউজিল্যান্ড তারকা]