ভারত: ৩৫১/৫ (গিল-৮৫, ঈশান-৭৭)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৫১/১০ (গুডাকেশ-৩৯*, শার্দূল-৩৭/৪, মুকেশ-৩০/৩)
ভারত জয়ী ২০০ রানে
স্টাফ রিপোর্টার: ভারতীয় কোচ রাহুল শরদ দ্রাবিড় নিশ্চিত হাঁফ ছেড়ে বেঁচেছেন। গত কয়েক দিন ধরে যেভাবে ভারতীয় টিমের ‘দ্রোণাচার্য’র তুলোধোনা চলছিল, যেভাবে রোষের সামনে পড়তে হয়েছিল তাঁকে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় ওয়ানডে হারার পর, তা ছিল অবাক করা। কী করেছিলেন দ্রাবিড়? না, দেশের মাটিতে আসন্ন বিশ্বকাপের কথা ভেবে সাহসী কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। দেখতে চেয়েছিলেন, রোহিত শর্মা-বিরাট কোহলিহীন ভারত কী করে? দ্বিতীয় ওয়ানডে-তে রোহিত বা বিরাট, কাউকে খেলাননি দ্রাবিড়। ভারত বিশ্রী ভাবে ম্যাচ হারে, সিরিজেও সমতায় ফিরে আসে। দ্রষ্টব্য ছিল, মঙ্গলবারের সিরিজ নির্ধারক ওয়ানডে-তে দ্রাবিড় কী করেন? যে সাহসী পন্থা তিনি নিয়েছিলেন, তা ফের অনুসরণ করেন কি না।
মঙ্গলবার রাহুল দ্রাবিড় দেখিয়ে দিলেন, একটা ছুটকো হারে তাঁর কিছু যায়-আসে না। রোহিত-বিরাটকে দ্বিতীয় ওয়ানডে-তে খেলাননি যেমন, এদিনও খেলাননি। শুভমান গিল-ঈশান কিষান-হার্দিক পাণ্ডিয়ারও দেখিয়ে গেলেন, দ্রাবিড়ীয় সিদ্ধান্তে কোনও ভুল ছিল না। বরং তাঁরাও পারেন দুই মহাতারকার অনুপস্থিতিতে টিমকে টানতে।
[আরও পড়ুন: জল্পনার অবসান, সুনীল-সন্দেশ-গুরপ্রীতকে রেখেই এশিয়াডের দল ঘোষণা ভারতের]
ভারত প্রথমে ব্যাট করে ৩৫১-৫ তুলে দেয়। গিল (৮৫), ঈশান (৭৭), স্যামসন (৫১) এবং হার্দিকের (৭০) অর্ধশতরান স্বস্তিতে ফেরায় ভারতীয় শিবিরকে। অধিনায়ক হার্দিক অবশ্য নির্দ্বিধায় বলে দিচ্ছেন, ভারতের ব্যাটিং লাইন আপে উন্নতির নেপথ্যে রয়েছে বিরাট কোহলির পরামর্শ। তাই না খেলেও জয়ের অনেকটা কৃতিত্ব তাঁরই প্রাপ্য।
এদিকে, পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে ১৫১ রানেই গুটিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানরা। একাই চারটে উইকেট তুলে নেন শার্দূল ঠাকুর। তিনটি উইকেট পান বাংলা দলের পেসার মুকেশ কুমার।
স্ট্র্যাটেজি খেটে যাওয়া ছাড়াও আরও দু’একটা বিষয় তৃপ্তি দেবে দ্রাবিড়কে। যেমন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে সেভাবে রান না পাওয়া শুভমানের প্রত্যাবর্তন। সঞ্জু স্যামসনের নিজেকে কিছুটা প্রমাণ করে যাওয়া। হার্দিকের অধিনায়কোচিত ইনিংস। মুকেশ কুমারদের পারফরম্যান্স। মহম্মদ শামিকে বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে এই সিরিজে। কিন্তু মুকেশরা দেখিয়ে দিয়েছেন যে, শামি-বুমরাহ না খেললে অন্তত মাঝারি মানের প্রতিপক্ষকে শাসন করার ক্ষমতা তাঁদের রয়েছে।