সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘এ কান্না আনন্দের। আমি আনন্দে কাঁদছি।’ ২৪ বছরের কেরিয়ারের শেষদিনে নিজের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি রজার ফেডেরার (Roger Federer)। এই কান্না রাতারাতি সংক্রামক হয়ে গিয়েছে। সেই সংক্রমণ থেকে রেহাই পেলেন না বিরাট কোহলিও (Virat Kohli)। সোশ্যাল মিডিয়ায় ফেডেরার ও নাদালের (Rafael Nadal) ছবি শেয়ার করেছেন তিনি। যে ছবিতে দুই টেনিস কিংবদন্তিকেই দেখা গিয়েছে কান্নাভেজা মুখ নিয়ে বসে থাকতে। এহেন ছবি দেখে আবেগে ভেসে গেলেন ‘কিং’ কোহলিও।
তিনি লিখেছেন, ‘কেউ কি ভাবতে পারে শত্রুরাও পরস্পরকে নিয়ে এমন ভাবে আবেগে ভাসতে পারে। এটাই খেলাধুলোর সৌন্দর্য। আমার কাছে এটাই খেলার শ্রেষ্ঠ ছবি। আপনার সতীর্থ যখন এভাবে কাঁদে, তখন আপনি বুঝতে পারেন ঈশ্বর আপনাকে কোন প্রতিভা দিয়েছেন। এই দু’জনের প্রতি শ্রদ্ধায় ভেসে যাওয়া ছাড়া আর কীই বা করার।’
[আরও পড়ুন: খোদ প্রধানমন্ত্রী মোদির উপর হামলার ছক ছিল PFI-এর, বিস্ফোরক দাবি ইডির]
আসলে খেলার মাঠে কান্নার জলছবি আগেও কতবার দেখা গিয়েছে। জীবনের শেষ টেস্টে শূন্য রানে ফিরে যাওয়া ব্র্যাডম্যানের চোখেও জলের আভাস খুঁজে পেয়েছিলেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। আবার ‘৯০ বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনার হারের পর দিয়েগো মারাদোনার হাউ হাউ কান্নাও কেউ ভোলেনি। কিন্তু এদিন রজার ফেডেরারের কান্না যেন সেই সব কান্নার থেকে পৃথক। এই কান্না যে আনন্দের কান্না তা জানিয়েছেন ফেডেরার। কিন্তু সত্যিই কি তাই? নাকি টেনিস সম্রাট এসব বলে নিজেই নিজের মন ভোলাচ্ছেন?
আসলে টেনিসের কোর্টেই তিনি বেঁচেছিলেন এতদিন। কোর্ট ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় কার্যত এক বিরাট বিচ্ছেদের শোকগাথার মুখোমুখি হয়ে পড়েই এই অশ্রুধারা। ফেডেরার মানুন বা নাই মানুন, তাঁর অনুরাগীরা জানেন, এটাই সত্যি। হর্ষ-বিষাদকে ছাড়িয়ে ফেডেরারের এই কান্না রচনা করেছে নতুন রূপকথা। শচীনও জীবনের শেষ ম্যাচের শেষে পিচকে প্রণাম করার সময় চোখের জল মুছেছিলেন। গ্যালারি ভেসেছিল কান্নাস্রোতে। কিন্তু ফেডেরারের কোনও বাঁধ দিতে চাননি আবেগে। আর তাই তা যেন লোনা বাতাসের মতো ছড়িয়ে পড়েছে। যা শেষ পর্যন্ত আবেগরুদ্ধ করে তুলল বিরাট কোহলির মতো এক ক্রিকেটারকে।