গৌতম ব্রহ্ম: উত্তরপ্রদেশ, গুজরাট, অসম, মধ্যপ্রদেশকে পিছনে ফেলে সর্বভারতীয় বিদ্যালয় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় চতুর্থ স্থান দখল করল পশ্চিমবঙ্গ (West Bengal)। ১৯ টি সোনা, ১৩ টি রূপো এবং ১৯ টি ব্রোঞ্জ সহ মোট ৫১ টি পদক পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্য। অর্জিত পয়েন্ট ১০২।
সদ্য শেষ হয়েছে ৬৬ তম ন্যাশনাল স্কুল গেমস (National School Games)। সেখানেই বাংলার স্কুল পড়ুয়ারা অ্যাথলেটিক্স, সাঁতার, ভলিবল, জিমন্যাস্টিকস, যোগাসন-সহ বিভিন্ন বিভাগে ভালো ফল করে। জানা গিয়েছে ১৯ টি স্বর্ণপদকের মধ্যে পাঁচটি এসেছে অ্যাথলেটিক্সে, সাতটি জিমন্যাস্টিকে, ছটি সাঁতারে এবং একটি ভলিবলে। দুটো রুপো এসেছে অ্যাথলেটিক্সে, পাঁচটি জিমন্যাস্টিকে, তিনটি সাঁতারে এবং তিনটি যোগাসনে। চারটি ব্রোঞ্জ এসছে অ্যাথলেটিক্সে, দাবায় একটি, জিমন্যাস্টিকে পাঁচটি, সাঁতারে পাঁচটি এবং যোগাসনে চারটি। সোনা, রুপো, ব্রোঞ্জ মিলিয়ে সব থেকে বেশি পদক এসেছে জিমন্যাস্টিকে। এরপরেই সব থেকে বেশি পদক দিয়েছে সাঁতার এবং যোগাসন।
[আরও পড়ুন: কেশপুর আছে কেশপুরেই! বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় গ্রাম পঞ্চায়েত ও পঞ্চায়েত সমিতিতে জয়ী TMC]
পদকের বিচারে বাংলার উপরেই রয়েছে দিল্লি, হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্র। ৫২ টি সোনা সহ ১২৭ টি পদক জিতেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের দিল্লি । তারপরই রয়েছে হরিয়ানা। ৪৮ টি সোনা সহ মোট পদকের সংখ্যা ১০৯। মহারাষ্ট্র পেয়েছে ১০৩ টি পদক। পঞ্চম স্থানে উত্তরপ্রদেশ, ষষ্ঠ স্থানে গুজরাট ।
করোনাকালে স্কুল স্তরের প্রতিযোগিতা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সম্প্রতি শিক্ষারত্ন পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রী ব্রাত্য বসুকে দ্রুত জেলা ও রাজ্য স্তরে কমিটি গড়ে ফের জেলায় জেলায় প্রতিযোগিতা আয়োজনের নির্দেশ দেন। তাতেই মেলে সাফল্য। এমনটাই দাবি করেছেন রাজ্য বিদ্যালয় ক্রীড়া পরিষদের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য শুভেন্দু ঘোষ। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রী উদ্যোগ নিয়েছেন বলেই এত অল্প সময়ে সর্বভারতীয় ক্ষেত্রে এত ভাল ফল হল। ৩৩ টি রাজ্যের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ চতুর্থ স্থান অধিকার করল।