সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বছর দুই আগের ইংল্যান্ড (England)। নাটকীয়তায় মোড়া বিশ্বকাপের ফাইনালে ইওন মর্গ্যানদের কাছে হার নিউজিল্যান্ডের (New Zealand)। লর্ডসের (Lords) সেই ফাইনালে আম্পায়ারের মুহূর্তের ভুলে চ্যাম্পিয়নের শিরোপা মাথায় ওঠেনি কিউয়িদে্র। ভাগ্য বিড়ম্বিত কেন উইলিয়ামসনকে (Kane Williamson) রানার্স হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল সেদিন। স্পোর্টিং স্পিরিটের প্রতিভূ নিউজিল্যান্ডের অধিনায়ক। ফাইনালে হারের পরেও একটা কথাও বলেননি।ক্রিকেটের সৌজন্য ও সৌভ্রাতৃত্ব রক্ষায় তিনি যেন এ যুগের ফ্রাঙ্ক ওরেল। নেটিজেনরাও ‘ব্যক্তি’ উইলিয়ামসনকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। ক্রিকেটের ধাত্রীভূমিতেই ন্যায়বিচার পেলেন উইলিয়ামসন। সাউদাম্পটনে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে (World Test Championship Final) উইনিং শটের সময় তিনি ক্রিজে উপস্থিত। শুধু তাই নয়, নিউজিল্যান্ডের প্রথম অধিনায়ক হিসেবে প্রথম কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট জিতে নিলেন। যদিও দিনের শেষে অবশ্য জয়ের যাবতীয় কৃতিত্ব একা নিলেন না, ভাগ করে দিলেন সতীর্থদের মধ্যে।
দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড- বিশ্ব ক্রিকেটে চোকার্স হিসেবে বদনাম এই তিন দলের। দক্ষিণ আফ্রিকা সাম্প্রতিক সময়ে কোনও আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালেই ওঠেনি। ইংল্যান্ড এর আগে টি-২০ বিশ্বকাপ জেতার পাশাপাশি ২০১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপও জিতেছে। চোকার্স বদনাম ঘুঁচিয়েছে তারা। কিন্তু নিউজিল্যান্ড? ২০১৫ ক্রিকেট বিশ্বকাপ, ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও শেষ হাসি হাসতে পারেনি কিউয়িরা। বিশেষ করে শেষ ওয়ার্ল্ড কাপ ফাইনালে আম্পায়ারের ওই ‘ভুল সিদ্ধান্ত’-এর জন্যই ভুগতে হয়েছিল উইলিয়ামসনদের। ফাইনালের পরেও তাই গোটা ক্রিকেট দুনিয়ায়ই কিউয়ি অধিনায়ককে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছিলেন। আর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালের পরও ছবিটা একই। তাঁকেই বিশ্বের সেরা অধিনায়ক হিসেবে আখ্যা দিচ্ছেন ক্রিকেটপ্রেমীরা।
[আরও পড়ুন: Euro 2020: রোনাল্ডোর জোড়া গোলে ফ্রান্সকে আটকাল পর্তুগাল, শেষ ষোলোয় দুই দলই]
প্রসঙ্গত, উইলিয়ামসনই নিউজিল্যান্ডের প্রথম অধিনায়ক যিনি দেশের হয়ে প্রথমবার আইসিসি ট্রফি জিতলেন। এতদিন ক্রিকেটকে একাধিক কিংবদন্তি উপহার দিলেও বিশ্বকাপ বা সমগোত্রীয় কোনও টুর্নামেন্ট জেতেনি কিউয়িরা। বরাবরই সেমিফাইনাল বা ফাইনালে আটকে গিয়েছে তারা। শেষপর্যন্ত উইলিয়ামসনের হাত ধরেই শাপমুক্তি কিউয়িদের। যদিও সাংবাদিক সম্মেলনে এসে কিউয়ি অধিনায়ক যেন রয়েছেন আগের মতোই। তাঁর কথায়, ‘আমি এখনও পর্যন্ত খুব অল্প সময়ের জন্যই নিউজিল্যান্ড দলের অংশ থেকেছি। আমাদের ক্রিকেট ইতিহাসের প্রথম বিশ্ব খেতাব জয় আমার কাছে সবসময় বিশেষ এক মুহূর্ত। আমরা জানি আমাদের দলে কোনও তারকা নেই এবং ভিন্ন ভিন্ন ক্রিকেটারের আলাদা আলাদা দক্ষতার ওপরই আমরা নির্ভর করি। বিগত দুই বছরে ২২ জন খেলোয়াড় এবং সাপোর্ট স্টাফরা সকলেই বিভিন্ন সময়ে দলের হয়ে নিজেদের অবদান রেখেছেন। এই মুহূর্তটা সারাজীবন আমার স্মৃতিতে থাকবে।’