সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বুধবার সকাল। নরম রোদ পড়েছে ময়দানে। মন দিয়ে ঘোড়ার লাগাম ধরা শিখছেন শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। প্রশিক্ষণের প্রথমদিন। তাই বাহনের সঙ্গে বন্ধুত্ব করাই পয়লা উপলক্ষ। প্রথমদিনেই প্রশিক্ষকের কাছে ভাল নম্বর পেলেন অভিনেত্রী। আর পাবেন নাই বা কেন, বাধ্য ছাত্রীর মতো সাতসকালে পৌঁছে গিয়েছেন ময়দানের নির্দিষ্ট জায়গায় ঘোড়সওয়ার শিখতে। প্রথমবার। তাই একটুও কি বুক ধুকপুকানি হয়নি?
শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায় জানালেন, প্রথমটায় একটি নার্ভাস লেগেছিল বটে। কারণ এটা তো কোথাও ঘুরতে গিয়ে ঘোড়সওয়ারের মজা নেওয়ার মতো নয়। সিনেমার জন্য পারদর্শী ঘোড়সওয়ারের সমস্ত খুঁটিনাটি, কলা-কৌশল শিখতে হবে। তা প্রথমদিন প্রশিক্ষণ নেওয়ার পর কেমন অনুভূতি? এপ্রসঙ্গে হবু ‘দেবী চৌধুরানী’র মন্তব্য, ঘোড়ার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয়ে গিয়েছে। ভয়টাও কেটেছে ধীরে ধীরে। আর আমার প্রথমদিনের পারফরম্যান্স দেখে প্রশিক্ষকও খুশি।
[আরও পড়ুন: মুম্বই সফরে বড় ঘোষণা মমতার! কলকাতা ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে আসছেন শাহরুখ-সলমন]
প্রসঙ্গত, ‘দেবী চৌধুরানী’র মতো দৌর্দণ্ড্যপ্রতাপ ঐতিহাসিক চরিত্রে অভিনয় করতে গেলে দরকার কড়া হোমওয়ার্কের। অতঃপর শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ও কোনওপ্রকার ফাঁক রাখছেন না। কারণ, ফিল্মি কেরিয়ারের সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ সিনেমার শুটিং করতে চলেছেন তিনি। তাই ইতিমধ্যেই ঘোড়সওয়ারের তালিম নেওয়া শুরু করে দিয়েছেন ময়দানে। শুধু তাই নয়, এই সিনেমার জন্য সোহাগ সেনের কাছে অভিনয়ের ওয়ার্কশপও করবেন শ্রাবন্তী। পিরিয়ডিক ফিল্মের জন্য সেই সময়ের ভাষা, কথা বলার ধরণ শিখতে হবে।
ওজন ঝরিয়েছেন অন্তত ১০ কেজি। তিনি যে খেতে খুবই ভালবাসেন, তা ইন্ডাস্ট্রিতে সকলেরই জানা। তাই লোভনীয় খাবার দেখলে আপাতত মেপে-জুখে খেতে হচ্ছে তাঁকে। নভেম্বর থেকে জানুয়ারি অবধি পুরোদস্তুর চলবে দেবী চৌধুরাণীর শুটিং। ‘দেবী চৌধুরানী’র ‘মেন্টর’ ভবানী পাঠকের ভূমিকায় থাকছেন প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। তিনিও শ্রাবন্তীর সঙ্গে ওয়ার্কশপে অংশ নেবেন।