সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ‘নটী বিনোদিনী’ ছবিতে রুক্মিণীর লুক নিয়ে সোমবারই নাম না করে অভিনেত্রীকে কটাক্ষ করেছিলেন শ্রীলেখা মিত্র। প্রশ্ন তুলেছিলেন, ‘বিনোদিনী কি রোগা ছিলেন!’ শ্রীলেখার এই মন্তব্যে নেটপাড়ায় হইচই পড়ে যায়। তবে এ নিয়ে রুক্মিণীর তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া না পাওয়া গেলেও, এবার শ্রীলেখার বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খুললেন ছবির সঙ্গে যুক্ত অরিত্র দাস। সোশ্যাল মিডিয়ায় শ্রীলেখাকে ইঙ্গিত করে অরিত্র লেখেন, ”যিনি রোগা বিনোদিনী নিয়ে খুব চিন্তিত, তার উদ্দেশে আমার একটি বক্তব্যয। এর আগে যাঁরা বিনোদিনী হয়েছেন, ধীরেন গুপ্তর ছবিতে দেবশ্রী রায় এবং গুলজারের টিভি সিরিয়ালে হেমা মালিনী, এরা কি কেউ মোটা ছিলেন? ভগত সিংকে কি অজয় দেবগণের মতো দেখতে? নাকি ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাইকে কঙ্গনার মতো দেখতে? নাকি সুশান্ত সিংকে ধোনির মতো দেখতে? শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে কি ঋত্বিক ঘটকের মতো দেখতে? অরুন্ধতি দেবীকে কি ভগ্নি নিবেদিতার মতো দেখতে…. আর কত নাম নেব। ব্যক্তিগত কারণে আপনার ভাল নাই লাগতে পারে, তার মানে এই না যে যাঁরা কষ্ট করে সিনেমাটা বানানোর চেষ্টা করছে তাদের আপনি অপমান করবেন? সত্য়ি ওর জেনেরাল নলেজের ক্লাস নেওয়া উচিত। ”
অরিত্রর এই পোস্ট চোখে পড়েছে শ্রীলেখারও। শ্রীলেখা কিন্তু চুপ থাকেননি। মঙ্গলবার ফেসবুকে আরেকটি পোস্টে গোটা বিষয়ে স্পষ্ট জবাব দিলেন। সুমন ঘোষের ছবিতে নিজের বিনোদিনী লুক শেয়ার করে শ্রীলেখা লিখলেন, ‘কোনও এক সময়ে বিনোদিনীর চরিত্রে। সুমন ঘোষের ছবিতে। আমি তোমাদের জিকে দিদি। বিনোদিনীর সম্পর্কে পুরো পড়াশুনো করা আমার। সেটা আজ থেকে নয়। স্কুলে পড়তে। যখন বাবা নাটক করেছিল নটী বিনোদিনী তখন থেকে। আর কাউকে অপমান করতে পোস্ট দিইনি। সেটা আমি করি না। সমালোচনা করা আর অপমান করা দুটো এক কাজ জিনিস নয়। আমাকে জিকে দিদি এসব না বলে ছবিটা ভালবেসে বানাও রাম কমল মুখোপাধ্য়ায়। আমার মতো যাদের মাথার উপর রামদেব বাবাদের হাত নেই তাঁরা এমনিতেও চুপ করে যাবে। শুভেচ্ছা টিমকে। বাংলা ছবির পাশে…’
[আরও পড়ুন: নটী বিনোদিনী কি রোগা ছিলেন? নতুন ছবির লুক দেখে রুক্মিণীকে খোঁচা শ্রীলেখার]
গত বছর প্রকাশ্যে এসেছিল ফার্স্টলুক। নটী বিনোদিনী হিসেবে শ্রীচৈতন্য অবতারের লুকে চমকে দিয়েছিলেন অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র (Rukmini Maitra)। এবার নতুন ছবি এল প্রকাশ্যে। সোমবার নতুন লুকটি প্রকাশ করা হয়েছে। ছবিতে লাল পাড়ের নীল শাড়ি পরেছেন রুক্মিণী। পরনে রয়েছে মানানসই গয়না। আর তাতেই বিনোদিনী দাসীর মেজাজে দেখা গিয়েছে অভিনেত্রীকে।
রুক্মিণীর কথায়, “নিজের টিমের উপর সম্পূর্ণ আস্থা ছিল। আর সত্যিই ওরা যেন জাদু করেছে। এই লুকটা তৈরি করতে চার ঘণ্টা লেগেছে।” পরে ফেসবুকে ছবিটি পোস্ট করে রুক্মিণী জানান, অভিনেত্রী হিসেবে এটিই তাঁর সবচেয়ে কঠিন কাজ।