সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক হিংসার বিরুদ্ধে সোচ্চার হলেন অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। মানুষের জীবনের থেকেও কি ধর্ম বড়? প্রশ্ন তুললেন তিনি।
“ধর্ম…উপাসনার হাতিয়ার নাকি যুদ্ধের?”, ফেসবুকে একথা লেখেন শ্রীলেখা। তার প্রেক্ষিতে ফোন করতেই অভিনেত্রী জানান, ভালাবাসাই তাঁর পরম ধর্ম। কোন ধর্মে মানুষকে খুন করার কথা বলা হয়? প্রশ্ন তোলেন শ্রীলেখা। এরপরই অভিনেত্রী বলেন, “ধর্মের ভিত্তিতে যুদ্ধ, ভেদাভেদের চেষ্টা চলতে থাকে। মানুষ যুদ্ধ চায়, শান্তি চায় না। এটা খুবই দুঃখের। হিন্দু মুসলমানকে মারুক কিংবা মুসলমান হিন্দুকে মারুক, আখেরে সাধারণ মানুষেরই মৃত্যু হচ্ছে। এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া উচিত। “
“২০২১ সালেও মানুষ ধর্মের অজুহাত দিয়ে এই সমস্ত করে যাচ্ছে। এগুলো সত্যিই কষ্টের। মানুষের জীবনের থেকেও কি ধর্ম বড়? কেন?” প্রশ্ন তোলেন শ্রীলেখা মিত্র। এর বিরুদ্ধে আইনসম্মত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেই মনে করেন অভিনেত্রী।
[আরও পড়ুন: মহাকাশে সিনেমার শুটিং করতে গিয়ে মহাবিপত্তি! একটুর জন্য প্রাণে বাঁচলেন কলাকুশলীরা]
উল্লেখ্য, শুক্রবার অর্থাৎ বিজয়া দশমীর (Dashami) দিন নোয়াখালি জেলার ইসকন মন্দিরে হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা। কোরান ‘অবমাননার’ অভিযোগে ধর্মীয় স্থানটিতে ভাঙচুর চলে। ইসকন মন্দিরের পরিকাঠামোর বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। শুধু তাই নয়, পার্থ দাস নামের মন্দিরের এক সদস্যকে খুন করে হামলাকারীরা। টুইটারে হামলার ঘটনাটি তুলে ধরেছে ইসকন কর্তৃপক্ষ। প্রশাসনের কাছে হিন্দুদের সুরক্ষা ও দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আরজি জানানোর পাশাপাশি শনিবার রাষ্ট্রসংঘেও একটি চিঠি পাঠানো হয় ইসকন কর্তৃপক্ষের তরফে। গত বুধবার অর্থাৎ অষ্টমীর রাতে বাংলাদেশের একাধিক পুজোমণ্ডপে হানা দেয় দুষ্কৃতীরা। এর বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র।
বাংলাদেশের এই ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মন্তব্য করেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ও (Parambrata Chatterjee)। দীর্ঘ পোস্টের শেষে অভিনেতা লেখেন, “গোঁড়ামি , মৌলবাদ , ইংরিজিতে যাকে বলে ফ্যানাটিসিজম , সেটা সব ধর্মেই থাকে। এটা চলে এসেছে হাজার বছর ধরে। যখন যে ধর্মের মৌলবাদী জিগির সামনে আসে , তখন সেগুলোর থেকে বেরোনোর, সেগুলির সমালোচনা করার বা সেই বিশ্বাসে বিশ্বাসী শক্তি গুলিকে পরাস্ত করার দায়িত্ব কিন্তু সেই ধর্মের শুভ বুদ্ধি সম্পন্ন মানুষকেই আরও বেশি করে নিতে হবে !”