সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভোটের দামামা বেজে গিয়েছে। রং বদলের পালা অবশ্য তার অনেক আগেই শুরু হয়ে গিয়েছে। দিকে দিকে ‘খেলা হবে’ রব। এই স্রোতে গা ভাসিয়েই ফেসবুকে গানের ভিডিও শেয়ার করলেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। ক্যাপশনে লিখলেন, “হবে হবে খেলা হবে… ধৈর্য ধরুন।”
[আরও পড়ুন: কঙ্গনার বিরুদ্ধে মামলায় হৃতিককে সমন পাঠাল ক্রাইম ব্রাঞ্চ, শনিবারই হাজিরার নির্দেশ ]
আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে ‘খেলা হবে’ শব্দটি বেশ জনপ্রিয় হয়েছে। রাজনীতিবিদ থেকে সাধারণ মানুষ অনেকের মুখেই কথাটি শোনা গিয়েছে। সেই শব্দ ব্যবহার করেই গানটি তৈরি করেছে রেডইঙ্ক। ব়্যাপের ছন্দ ব্যবহার করা হয়েছে তাতে। গানের কথায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে একহাত নেওয়া হয়েছে। তেল ও রান্নার গ্যাসের বাড়তি দাম থেকে ‘দুয়ারে সরকার’ প্রকল্পেরও সমালোচনা করা হয়েছে। পরিচালক অনীক দত্তর কাছ থেকে ভিডিওটি পেয়েছেন বলেই ফোনে জানান অভিনেত্রী। সোশ্যাল মিডিয়ায় মনের কথা বলতে কার্পণ্য করেন না তিনি। কিছুদিন আগেই নিজের নতুন লুকের ছবি পোস্ট করেছিলেন। ক্যাপশনে লিখেছিলেন, “লুক পালটাতে পারে কিন্তু আদর্শ … কখনওই না।”
ভোটের আগে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দিয়েছেন টলিপাড়ার একাধিক তারকা। একদিকে যেমন তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন দীপঙ্কর দে, ভরত কল, সায়নী ঘোষ, কৌশানি মুখোপাধ্যায়, সৌরভ দাস, পিয়া সেনগুপ্তর মতো তারকা, অন্যদিকে পদ্ম শিবিরে নাম লিখিয়েছেন রুদ্রনীল ঘোষ, যশ দাশগুপ্ত, পায়েল সরকারের মতো তারকারা। নাট্য জগতের একাধিক কর্মী ব্রাত্য বসুর নেতৃত্বে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন। আবার বাংলা টেলিভিশনের একাধিক তারকারাও রাজনৈতিক দলে নাম লিখিয়েছেন। বরাবর বামপন্থায় বিশ্বাসী শ্রীলেখা মিত্র। সেকথা স্পষ্টভাবেই বলেন অভিনেত্রী। কিন্তু সক্রিয় রাজনীতিতে তিনি কি যোগ দেবেন? প্রশ্নের উত্তরে অভিনেত্রী জানান, মানুষের জন্য কাজ করতে গেলে রাজনীতিতে আসার প্রয়োজন নেই। বরাবরই সেবানীতিতে বিশ্বাসী শ্রীলেখা। শুটিংয়ের কাজ নিয়ে ব্যস্ততা তো থাকেই, পাশাপাশি নিজের চারপেয়েদের খেয়াল রাখেন। নিজের শর্তে চলাই তাঁর অভ্যাস। সেই অভ্যাসই বজায় রাখতে চান।