সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ট্রোল সংস্কৃতি নতুন নয়। অতিমারী (Pandemic) আবহে তা আরও বেড়েছে। ভারচুয়াল জগতের আড়ালে কারও শরীর নিয়ে মন্তব্য করা যেন আরও সহজ হয়ে গিয়েছে। এর বিরুদ্ধে একাধিকবার সরব হয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra)। এবার নিজের ইউটিউব চ্যানেল ‘আমি শ্রীলেখা’য় (Aami Sreelekha) আপলোড করলেন ‘আমাকে মোটা বোলো না’ ভিডিও। তাতেই নিন্দুকদের এক হাত নিলেন অভিনেত্রী।
পাশাপাশি রিমঝিম মিত্রর (Rimjhim Mitra) ‘থলথলে বউদি’ মন্তব্যেরও কড়া জবাব দিলেন।
ভিডিওটিতে শ্রীলেখা ছাড়াও রয়েছেন মৈনাক গঙ্গোপাধ্যায় (Moinak Ganguly)। ক্যামেরার নেপথ্যে ছিলেন তিনি, পরে ক্যামেরার সামনেও দেখা যায়। ভিডিওর শুরুতেই সাদা টপ ও হট প্যান্ট পরে দেখা যায় শ্রীলেখাকে। তখনই মৈনাক প্রশ্ন করেন, এত ছোট পোশাক পরলে আবার ভারচুয়াল জগতের নাগরিকরা নিন্দে মন্দ করবেন না তো? কে কী বলবে তার জন্য পোশাক পালটাতে হবে? মন না চাইলেও সাদা টপ পালটে নীল কুর্তি পরেন অভিনেত্রী। পরে আবার ঠাট্টা করে জানান, কুর্তির নিচে প্যান্ট পরেননি। এরপরই অভিনেত্রী জানান, মোটাকে মোটা বলাই যায়, কিন্তু কাউকে ছোট করে এই ধরনের মন্তব্য করা ঠিক নয়।
[আরও পড়ুন: ‘সব কিছু সাদা-কালোর মতো সহজ নয়’, নতুন পোস্টে কীসের ইঙ্গিত দিলেন শ্রাবন্তী?]
মহিলারাই অনেক সময় মহিলাদের শরীর নিয়ে মন্তব্য করেন। ‘থলথলে বউদি’, ‘মাংসপিণ্ড’র মতো শব্দ ব্যবহার করা হয়। কেন এই ধরনের মন্তব্য করা হয়? যাঁরা তা করছে তাঁরা কি নিজেরা পারফেক্ট? প্রশ্ন তোলেন শ্রীলেখা। উল্লেখ্য, বিজেপিতে (BJP) যোগ দেওয়ার জন্য নাকি এক তারকাকে ৭ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এমন কথা শুনেছিলেন বলে ভোটের আগে সোশ্যাল মিডিয়ায় জানিয়েছিলেন শ্রীলেখা। তাঁর সেই পোস্টের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিয়েছিলেন রিমঝিম। ব্যক্তিগত স্তরেও আক্রমণ করা হয়েছিল। যার জেরে রিমঝিমকে ব্লক করেছিলেন শ্রীলেখা। এরপরই রিমঝিম ফেসবুকে “থলথলে বউদি আমায় ব্লকিয়েছে। কমরেট মাংস পিণ্ড কি এটা ঠিক করল আমার সঙ্গে?” সেই স্ক্রিনশটও ভিডিওতে শেয়ার করেছেন শ্রীলেখা।
ভিডিওতেই মৈনাকের কাছে পুরুষ হিসেবে নারী শরীর সম্পর্কে তাঁর মানসিকতা জানতে চেয়েছেন। তার উত্তরে আবার মৈনাক জানিয়েছেন, শরীর বা গায়ের রং নয় তাঁর কাছে মনের যোগই আসল। সবশেষে আবার শ্রীলেখা জানিয়েছেন, ৬৫ বছর বয়সেও তিনি হট প্যান্ট ও ছোট জামা পরবেন। তখনও ছেলেরা বেশি তাঁর দিকেই তাকাবেন বলে মেয়েকে জানিয়ে দিয়েছেন অভিনেত্রী। ৮ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডের এই ভিডিওটি সম্পাদনা করেছেন সৌমিক বিশ্বাস (Soumik Biswas)।