সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইন্ডাস্ট্রির লোকেরা তাঁকে ‘ঠোঁটকাটা’ অভিনেত্রী বলে। তবে শ্রীলেখা মিত্র (Sreelekha Mitra) নিজেকে স্পষ্টবাদীই বলে থাকেন। সাদাকে সাদা, কালোকে কালো বলতেই তিনি ভালবাসেন। অন্যায় দেখলেই প্রতিবাদ করে ওঠেন। চুপ করে থাকেন না বা এড়িয়ে যান না। এই কারণেই সিনেমা হোক বা রাজনীতি, সব কিছু নিয়েই পরিষ্কার মতামত দেন তিনি। তার প্রমাণ রয়েছে শ্রীলেখা মিত্রর নানা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে।
এসএসসি দুনীর্তিতে পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) গ্রেপ্তারি নিয়ে নানা সময়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন শ্রীলেখা মিত্র কীভাবে একের পর এক দুর্নীতির সঙ্গে এই রাজ্যের নাম জড়িয়ে পড়ছে, তা নিয়ে আশাহত তিনি। তাই তো অভিমান বুকে নিয়ে শ্রীলেখা তাঁর নতুন ফেসবুক পোস্টে লিখলেন, ”এ রাজ্যে জন্ম না হলেই ভাল হত!”
[আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রাণনাশের হুমকি, নিরাপত্তা চেয়ে পুলিশের দ্বারস্থ ভিকি-ক্যাটরিনা]
বরাবরই এই বাংলা তাঁর প্রিয় জায়গা। কলকাতা শহর তাঁর প্রাণ। যেখানেই তিনি যান না কেন, কলকাতায় ফিরে আসার জন্য মন ছটফট করে শ্রীলেখার। তবে এই মুহূর্তে প্রিয় শহরেই তাঁর দমবন্ধ অবস্থা। ক্ষোভ, অভিমান মেশানো অনুভূতিকে সঙ্গে নিয়ে এই নতুন পোস্টে লিখলেন, ”পশ্চিমবঙ্গ.. জোকারের রাজ্য। এই রাজ্যের সঙ্গে আমার সব সম্পর্ক শেষ। আমি বহুদিন আগেই এই রাজ্যের সঙ্গে জড়িত সমস্ত গর্ব ত্যাগ করেছি। সব কিছুতে ঘেন্না লাগে আমার। এখানে আমার জন্ম না হলেই ভাল হত।”
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটালের তরফ থেকে শ্রীলেখার (Sreelekha Mitra) সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে শ্রীলেখা বলেন, ”চারদিকে যা হচ্ছে তা দেখে একেবারেই ভাল লাগছে না। অদ্ভুত অনুভূতি হচ্ছে। আমি ডিপলোম্যাটিক হতে পারছি না, রাগ হলে প্রকাশ করে ফেলছি। আমার রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে প্রকাশ্যে কথা বলে ফেলছি, সত্যি কথাকে ঢেকে মিষ্টি মিষ্টি মিথ্যা কথা বলতে পারছি না। রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী যে ধরা পড়লেন এবং মেয়েটার উপর সব দোষ দেওয়া হচ্ছে। চারিদিকে কত কিছু ঘটছে, কত দুর্নীতি রয়েছে, এর সঙ্গে কত মানুষ যুক্ত রয়েছে, তারা ধরা পড়ছে না। এই নিয়ে কেউ কোনও কথাই বলছে না। লোকে এসব নিয়ে ঠাট্টা করছে! কিন্তু বিষয়টা তো ঠাট্টার মতো নয়, ভয়ঙ্কর একটা ব্যাপার। কিন্তু কারও হেলদোল নেই। কেউ কোনও কথা বলছে না এসব নিয়ে। সবাই এড়িয়ে চলছে।”
শ্রীলেখার কথায়, ”আমার মনে হচ্ছে আমি কেন এদের মতো হতে পারলাম না। তাহলে তো আমার অনেক সুবিধা হত। কাজের জায়গাতেও হত। আমাকে শুনতে হয়, কেন তুমি এসব নিয়ে কথা বলছ। শুনতে হয়, কেন আমি মানিয়ে নিয়ে চলতে পারি না। এই মুহূর্তে রাজ্যের যা পরিবেশ তাতে নিজেকে খুবই খাপছাড়া লাগছে। রাজনীতি, সংস্কৃতি গোটা পরিবেশ নিয়ে প্রচণ্ড বিরক্ত লাগছে। দমবন্ধ লাগছে।”
[আরও পড়ুন: সামান্থার সামনেই নয়নতারাকে ‘অসম্মান’! করণ জোহরের কাণ্ডে রেগে লাল নেটিজেনরা ]