ভারত: ২০ ওভারে ১৩২/৫ (ধাওয়ান ৪০, দেবদূত ২৯, ধনঞ্জয় ২/২৯)
শ্রীলঙ্কা: ১৯.৪ ওভারে ১৩৩/৬ (ধনঞ্জয় ৪০*, ভানুকা ৩৬, কুলদীপ ৩০/২)
শ্রীলঙ্কা চার উইকেটে জয়ী।
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দলের এক সদস্য করোনা আক্রান্ত হওয়ায় বিধি মেনে দলের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ সদস্য কোয়ারেন্টাইনে। শেষ দুই ম্যাচে খেলবেনও না তাঁরা। পরিস্থিতি এমন সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে নেট বোলারদেরই মূল দলে নিতে বাধ্য হয়েছে টিম ইন্ডিয়া (Team India)। বলতে গেলে একেবারে ফিট প্রথম একাদশ নামাতেই হিমশিম খেতে হয়েছে দলের কোচ রাহুল দ্রাবিড়কে। আর সেই ভাঙাচোরা দল নিয়েই দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে (Sri Lanka) কড়া টক্কর দিল ভারত। যদিও শেষ হাসি হাসলেন করুণারত্নেরাই। ভারতের দেওয়া ১৩৩ রান তাড়া করতে নেমে ছ’উইকেট হারিয়ে ২ বল বাকি থাকতেই নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌঁছে গেল শ্রীলঙ্কা। ম্যাচ হারলেও এই দল নিয়ে ধাওয়ানদের লড়াই অবশ্যই প্রশংসার যোগ্য।
ক্রুণাল পাণ্ডিয়া করোনা আক্রান্ত হওয়ার পরই মঙ্গলবারের জন্য স্থগিত হয়ে গিয়েছিল দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচটি। এরপর ক্রুণালের সংস্পর্শে আসায় হার্দিক পাণ্ডিয়া, যুজবেন্দ্র চাহাল, সূর্যকুমার যাদব, পৃথ্বী শ’, ঈশান কিষাণ, কৃষ্ণাপ্পা গৌতম এবং দীপক চাহারও বাকি সিরিজ থেকে ছিটকে যান। ফলে একসময় কীভাবে দল নামানো হবে? সেই নিয়ে চিন্তায় পড়ে যায় টিম ম্যানেজমেন্ট। পরিস্থিতি সামলাতে ঈশান পোড়েল-সহ পাঁচ নেটবোলারকেও মূল দলের সঙ্গে নেওয়ার কথা ঘোষণা করে বিসিসিআই। এরপর টস করতে এসে অধিনায়ক শিখর ধাওয়ান প্রথম একাদশের যে তালিকা দেন, তাতে দেখা যায়, মোট চারজন নতুন খেলোয়াড়ের দলে অভিষেক হচ্ছে। ঋতুরাজ গায়কোয়াড, চেতন শাকারিয়া, দেবদূত পাড়িক্কল এবং নীতীশ রানা প্রথমবার আন্তর্জাতিক টি-২০ ম্যাচে মাঠে নামেন।
[আরও পড়ুন: Tokyo Olympics: বক্সিংয়ে জোড়া পদকের আশা ভারতের, তিরন্দাজিতে জিতলেন দীপিকাও]
এদিকে, টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন শ্রীলঙ্কার অধিনায়ক। কিন্তু ঋতুরাজ এবং ধাওয়ান শুরুটা বেশ ভালই করেন। প্রথম উইকেটে ৪৯ রান যোগ করেন তাঁরা। আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের সদস্য ঋতুরাজ ১৮ বলে ২১ রান করে আউট হন। এরপর দেবদূত এসে ধাওয়ানকে সঙ্গ দেন। দু’জনে মিলে দ্বিতীয় উইকেটে মূল্যবান ৩২ রান যোগ করেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৪০ রানের মাথায় আউট হন ধাওয়ান। এর কিছু পর আউট হয়ে যান দেবদূতও (২৯)। এরপর অবশ্য ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন সঞ্জু স্যামসন (৭), নীতীশ রানা (৯)। শেষপর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ভারতের রান দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৩২ রান। শ্রীলঙ্কার হয়ে ধনঞ্জয় দু’টি উইকেট পান।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভুবনেশ্বরের নেতৃত্বে দুরন্ত বোলিং করেন ভারতীয় বোলাররা। শুরুতেই আভিষ্কা ফার্নান্ডোর উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। বাউন্ডারি লাইনে দুরন্ত ক্যাচ নেন রাহুল চাহার। এরপর সমরবিক্রমা এবং দাসুন শানাকাও দ্রুত ফিরে যান। উলটোদিকে ভানুকা দলকে ম্যাচে ফেরানোর চেষ্টা করতে থাকেন। কিন্তু ব্যক্তিগত ৩৬ রানের মাথায় কুলদীপের বলে আউট হয়ে যান তিনি। এরপর ধনঞ্জয় ডি সিলভা এবং হাসারাঙ্গা জুটি শ্রীলঙ্কাকে লড়াইয়ে রেখেছিল। আর স্লগ ওভারে ভারতীয় বোলাররা চেষ্টা করলেও শেষ হাসি হাসল শ্রীলঙ্কাই। ধনঞ্জয় ডি সিলভার অপরাজিত ৪০ এবং করুণারত্নের (১২*) দুরন্ত ব্যাটিং দু’বল বাকি থাকতেই তাঁদের জয় এনে দেয়। ম্যাচ হারলেও এদিনের ম্যাচে দীর্ঘদিন পড়ে বেশ মেজাজে বল করলেন কুলদীপ যাদব। নিজের চার ওভারে ৩০ রান দিলেও দুটি উইকেট নিয়ে নেন তিনি। এছাড়া বরুণ চক্রবর্তী এবং ভুবনেশ্বররাও দুরন্ত বোলিং করেন। কিন্তু তাঁদের সেই চেষ্টা কাজে আসেনি।
তবে করোনা ভাইরাসের কারণে যে কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে টিম ইন্ডিয়া এদিন ম্যাচ খেলতে নেমেছিল তা সত্যিই প্রশংসার যোগ্য। আপাতত সবার নজর বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত হতে চলা সিরিজের শেষ ম্যাচের দিকে। এই ম্যাচ যে জিতবে, সেই সিরিজ পকেটে পুরবে।