সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ১ জানুয়ারি থেকে আগামী এক বছর শ্রীলঙ্কায় নোঙর করতে পারবে না চিনের কোনও জাহাজ। বেজিংয়ের জন্য এমনই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে দ্বীপরাষ্ট্রটি। ‘বন্ধু’ ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে কলম্বোর এই অবস্থানকে দিল্লির বড় কূটনৈতিক জয় বলে মনে করছে আন্তর্জাতিক মহল। এর আগে ভারত মহাসাগরে চিনা প্রশানের বিরুদ্ধে গবেষণার নামে ‘গুপ্তচর’ জাহাজ মোতায়েন করার অভিযোগ এনেছিল ভারত।
জানা গিয়েছে, ২০২৪ সালের শুরুর দিকে শ্রীলঙ্কার (Sri Lanka ) বন্দরে সামুদ্রিক গবেষণার জন্য শিয়াং ইয়াং হং ৩ নামের জাহাজ নোঙর করার অনুমতি চেয়েছিল চিন। কিন্তু সেই অনুমতি দেওয়া হয়নি। বদলে আগামী ১ বছরের জন্য চিনা জাহাজের ঠাঁই নেওয়া স্থগিত করে দিয়েছে শ্রীলঙ্কার প্রশাসন। এই বিষয়ে দ্বীপরাষ্ট্রটির বিদেশমন্ত্রী আলি সাবরি সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, “আমরা যাতে এই ধরণের গবেষণা করার ক্ষেত্রে আমাদের সহযোগীদের সমান অংশীদার হতে পারি তাই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আমাদের কিছু প্রস্তুতি নেওয়ার প্রয়োজন রয়েছে।”
[আরও পড়ুন: বছরের প্রথম দিনেই ৭.৫ রিখটার স্কেলে ভূমিকম্প জাপানে, আছড়ে পড়ল সুনামি]
বলে রাখা ভালো, ভারত মহাসাগরের পূর্ব অঞ্চল বরাবর মালাক্কা প্রণালীতে গবেষণা চালানোর নামে কার্যকলাপ বাড়িয়ে তুলেছে চিনের জাহাজ। যা মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে ভারতের কাছে। বেজিং চরবৃত্তি চালাচ্ছে বলে আশঙ্কা দিল্লির। বহুদিন ধরেই শ্রীলঙ্কার কাছে এই উদ্বেগের কথা জানাচ্ছিল ভারত। গত বছর দিল্লিতে এসে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেন দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রেসিডেন্ট রণিল বিক্রমসিংহে। সেই সময় তাঁর কাছে এই উদ্বেগের কথা প্রকাশ করে মোদি অনুরোধ জানিয়েছিলেন, ভারতের সুরক্ষা নিয়ে আশঙ্কাকে যেন সম্মান জানানো হয়। ফলে কূটনৈতিক মহল মনে করছে, এই আলোচনার পরই ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে ‘বন্ধু’ শ্রীলঙ্কা।
তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে, আর্থিক দুরবস্থার কবলে পড়া শ্রীলঙ্কার দিকে সাহাজ্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত (India)। গত বছরের আগস্ট মাসে দ্বীপরাষ্ট্রের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সমুদ্রে নজরদারি চালানোর বিমান দেওয়া হয় শ্রীলঙ্কাকে। একটি ডরনিয়ার বিমান তুলে দেওয়া হয় দ্বীপরাষ্ট্রের হাতে। রনিল বিক্রমসিংহের উপস্থিতিতে সেদেশের হাতে এই বিমানটি তুলে দেওয়া হয়। এর পর থেকে একাধিকবার কলোম্বোর দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে দিল্লি। বার্তা দিয়েছে দুর্দিনে পাশে থাকার।