সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিশ্বকাপের ফাইনাল ম্যাচ চলছে। একদিকে ভারত, অন্যদিকে অস্ট্রেলিয়া। হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। তুমুল উত্তেজনা। এমন পরিস্থিতি ‘অন্তর্মুখী স্পিনারের ডেলিভারি’ নিয়ে ফেসবুকে কিছু কথা লেখেন শ্রীজাত বন্দ্যোপাধ্যায় (Srijato Bandyopadhyay)। তাতেই শোরগোল। শুরু হয়ে যায় কটাক্ষের পালা।
শনিবার রাত বারোটা বাজার ঠিক আগে শ্রীজাত লেখেন, “একজন অন্তর্মুখী স্পিনারের ডেলিভারি’র মধ্যে অনেক কিছু লুকিয়ে থাকে। যেমন, তার ফেলে আসা ছোট শহরের বিকেল ও ব্যর্থতা, বাবার হাতে খাওয়া চড় ও প্রেমিকার ফিরিয়ে দেওয়া চিঠি, যেমন, প্রথম কোচের ম্যাচ থেকে বসিয়ে দেওয়া ও বন্ধুদের টিপ্পনি, বাড়িতে রোজগারের খোঁটা আর মায়ের ভার হয়ে থাকা মুখ।”
[আরও পড়ুন: বাবার হাতে উঠবে বিশ্বকাপ? ইতিহাসের সাক্ষী হতে মা অনুষ্কার সঙ্গে গ্যালারিতে খুদে ভামিকাও]
এর পরই আবার তিনি লেখেন, “তার (স্পিনারের) ডেলিভারি’র মধ্যে ওত পেতে থাকে যৌবনের প্রতিটি প্রত্যাখ্যান ও অপমান, উপহাস আর নীরবতা। তাই পিচে পড়ামাত্র, কিছু বোঝার আগেই এক আশ্চর্য বাঁক নেয় লাল বল। ওই বাঁক তার জীবন থেকে পাওয়া। একজন অন্তর্মুখী স্পিনারের ডেলিভারিতে লুকিয়ে থাকে এত কিছু। উইকেট পড়ার শব্দ আর দর্শকদের উল্লাসের মাঝখানে যে এক সেকেন্ডের স্তব্ধতা, সেইটাই তার উত্তর।”
শ্রীজাতও এই লেখায় অনেকেই মুগ্ধ। তবে নিন্দুকদের টিপ্পনিও রয়েছে কমেন্ট বক্সে। ব্যঙ্গ করে লেখা হয়, “আপনাকে জাতীয় দলের স্পিনিং কোচ বানানোর তীব্র দাবি জানাই।” একজন আবার লেখেন, “আপনি কত জানেন, তাও আপনার একটুও অহং বোধ নেই।” “এটা সভাকবির প্রিয় লেবু। ক্রিকেট নিয়ে কিছু হলে এটাই কচলান। এর আগে চোদ্দবার পোস্ট করেছেন”, এমন কথাও লেখা হয়েছে। ‘বহির্মুখী একটা ব্যাটসম্যান দরকার’ বলেও মন্তব্য করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত ‘ধুম’ সিনেমার পরিচালক সঞ্জয় গাধভী ]