সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: করোনা (Corona Virus) কালে টিকা অতি প্রয়োজনীয়। কিন্তু প্রয়োজন হলেই বা তা মিলছে কোথায়। মে মাসের শুরু থেকে ১৮ বছরের বেশি বয়স হলেই টিকা নেওয়া যাবে, একথা জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র সরকার। কিন্তু জানালেই তো আর হল না। চারদিকে নানা অভিযোগ। কোথাও প্রথম ডোজের জন্য নাম নথিভুক্ত করাতে কালঘাম ছুটে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে, কোথাও আবার দ্বিতীয় ডোজের জন্য হাহাকার। এমন পরিস্থিতিতেই টিকা নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যঙ্গাত্মক একটি পোস্ট শেয়ার করলেন পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় (Srijit Mukherji)।
সৃজিতের শেয়ার করা পোস্টে সত্যজিৎ রায়ের (Satyajit Ray) ‘সোনার কেল্লা’ সিনেমার কিছু সংলাপ মজার ছলে নতুন করে তৈরি করা হয়েছে। যেখানে মুকুল বলছে, সে ভ্যাকসিন, অক্সিমিটারের ছবি আঁকছে। ভ্যাকসিনেশন সেন্টারে কোভ্যাকসিনের জন্য দাঁড়িয়ে থাকার কথাও বলা হচ্ছে। এরপরই বিদ্রুপ করে মুকুলের সংলাপ হিসেবে লেখা হয়েছে, “প্রথম ডোজ নেওয়ার পরে পরের ডোজ ৪ সপ্তাহ, ৮ সপ্তাহ, ৯০ দিন করে পিছোতে পিছোতে একদিন বললো এক জন্মে একটা আরেক জন্মে আরেকটা নিলে সবচেয়ে বেশি কার্যকর হবে।”
[আরও পড়ুন: ছোট্ট আয়াংশকে বাঁচাতে চাই ১৬ কোটির ওষুধ, সাহায্যের কাতর আবেদন স্বস্তিকার]
উল্লেখ্য, এর আগে করোনা টিকার (Corona Vaccine) প্রথম ডোজ নেওয়ার ছবি পোস্ট করে বিতর্কে জড়িয়েছিলেন সৃজিত। ৪৫ বছরের কম বয়স সৃজিতের। তাহলে কীভাবে তিনি করোনা টিকা নিতে পারেন? এই প্রশ্ন তুলেছিলেন অনেকে। প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েই পোস্ট ডিলিট করে দেন সৃজিত। পরে তিনি জানান, এক বন্ধুর মাধ্যমে তিনি জানতে পেরেছিলেন করোনা টিকা নেওয়ার বয়স ৪০ করে দেওয়া হয়েছে। সেই কারণেই টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছিলেন। তবে এবার সত্যিটা জানতে পেরেছেন। কিন্তু যা হয়ে গিয়েছে, তা তো আর পালটানো যাবে না। তাই নতুন নিয়ম কার্যকর না হলে করোনা টিকার দ্বিতীয় ডোজ তিনি নেবেন না। অবশ্য এখন পরিচালক তা নিয়েছেন কিনা সে সম্পর্কে এখনও কিছু জানা যায়নি।
এদিকে শনিবার প্রয়াত হয়েছেন কিংবদন্তি অভিনেতা তরুণ কুমারের জামাই পান্নালাল বন্দ্যোপাধ্যায়। পান্নালাল বাবুর ছেলে সৌরভ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বউমা ত্বরিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলা টেলিভিশনের পরিচিত মুখ। ফোনে এক সংবাদ মাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে ত্বরিতা জানিয়েছেন, সোমবার করোনার দ্বিতীয় টিকা নিয়েছিলেন পান্নালাল বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর থেকেই অস্বস্তি অনুভব করেন। শুক্রবার রাতে হঠাৎই বাড়াবাড়ি হয়। বুকে ব্যথা শুরু হয়। শনিবার সকালে প্রয়াত হন। তাঁর শ্বশুরমশাই করোনা আক্রান্ত ছিলেন না বলেই জানিয়েছেন ত্বরিতা।