সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: স্বামী সাংবাদিকতা করেন। সরকারি নীতি ও সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কলম ধরেন। আর সেই কারণেই ‘শাস্তি’ পেলেন তাঁর স্ত্রী। কাশ্মীরের সাংবাদিক পিরজাদা আশিক ও তাঁর স্ত্রী মাশরত ইউসুফের সঙ্গে এমনই ঘটেছে। মাশরত শ্রীনগর পুরসভায় মিডিয়া অ্যাসিস্ট্যান্টের পদে রয়েছেন গত ১১ বছর ধরে। কিন্তু এবার তাঁকে বরখাস্ত করা হল।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের জম্মু ও কাশ্মীরের করেসপন্ডেন্ট হিসেবে কাজ করেন আশিক। গত ২০১৯ সালের আগস্টে উপত্যকার বিশেষ মর্যাদার অবলুপ্তির পর থেকেই তিনি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে মিথ্যে প্রোপাগান্ডা করছেন, এমন অভিযোগ অনেক দিনের। ইতিমধ্যেই বহুবার তাঁকে বিভিন্ন মামলায় সমন পাঠিয়েছে পুলিশ। তাঁর বিভিন্ন লেখা তাঁকে ব্যাখ্যা করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু এরপরও তাঁর লেখা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। অবশেষে এবার তাঁর স্ত্রীকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিল প্রশাসন। উল্লেখ্য, মাশরফের পদটি স্থায়ী ছিল না। তাঁর জায়গায় ইদ্রিস আকিল নামের এক ব্যক্তিকে জনসংযোগ আধিকারিকের পদে বসানো হয়েছে। মাশরফকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁকে আর প্রয়োজন হবে না।
[আরও পড়ুন: ভূমিপুত্র না হলে ভোটাধিকার নয়, সরব ফারুক আবদুল্লা, কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা]
দেশদ্রোহিতার অপরাধে জম্মু ও কাশ্মীর সরকার ইতিমধ্যেই ৩০ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেছে। ২০২০ সালের জুলাইয়ে এই নিয়ে একটি বিশেষ কমিটি তৈরি করা হয়েছিল। সেই কমিটির কাজই হল কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের কোনও সরকারি কর্মী দেশবিরোধী কার্যকলাপে জড়িয়ে পড়ছেন কিনা তা নজরে রাখা। যদি কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে, তাহলে তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে তাঁকে চাকরি থেকে সরানোর প্রস্তাবও সরকারের কাছে পৌঁছে দেয় এই কমিটি।
তাদের অভিযোগেই গত আগস্টে এক জঙ্গি চক্র দমনের ঘটনায় চাকরি গিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের উচ্চপদস্থ প্রশাসনিক আধিকারিক আসবা-উল-অরজামন্দ খানের। সব মিলিয়ে গত মাসেই বরখাস্ত হয়েছেন পাঁচ জন সরকারি কর্মী।