দীপঙ্কর মণ্ডল: SSC জট যেন কিছুতেই কাটছে না। নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে দীর্ঘদিন অনশনের পথে হেঁটেছিলেন। গত বছর সল্টলেকের বিকাশ ভবনের সামনে তাঁদের অবস্থান বিক্ষোভ রীতিমতো নড়িয়ে দিয়েছিল প্রশাসনকে। তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সকলেই তাঁদের সঙ্গে দেখা করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করেন। কিন্তু তাতেও সমস্যার জট সম্পূর্ণভাবে কাটেনি। সেই ক্ষোভ এবার আছড়ে পড়ল রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) বাড়ির সামনে। সেখানে পোস্টার হাতে বিক্ষোভ দেখালেন SSC চাকরিপ্রার্থীদের একাংশ। যদিও কোভিড বিধি মেনেই তাঁরা জমায়েত হন কালিন্দীতে তাঁর বাড়ির সামনে। একবার শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান বলে দাবি করেন। মন্ত্রীর বাড়ির সামনে হাই সিকিউরিটি জোনে (High Security Zone) পুলিশ তাঁদের আটকায়। তবে মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার দাবিতেই অনড় বিক্ষোভকারীরা।
রবিবার দুপুর ৩টের পর আচমকাই লেকটাউনের (Lake Town) কালিন্দীতে ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনে পোস্টার হাতে জমায়েত হতে দেখা যায় একদল তরুণ, তরুণীকে। এঁদের মধ্যে মহিলাদের সংখ্যাই ছিল বেশি। তাঁদের সকলের হাতে ছিল পোস্টার। তাতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের মুখ। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য অভিনন্দন জানানো হয়েছে তাঁকে। মন্ত্রীর বাড়ির সামনে জমায়েত দেখেই ছুটে আসে পুলিশ। তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়। কিন্তু বিক্ষোভ সামলাতে পুলিশ কার্যত হিমশিম খায়। সংবাদমাধ্য়মের সামনে এক মহিলা বলেন, ”আমরা এখানে কোনও বিক্ষোভ করতে আসিনি। শুধু স্যরের (ব্রাত্য বসু) সঙ্গে দেখা করব, আমাদের কিছু বক্তব্য আছে, সেসব জানিয়েই চলে যাব।” কিন্তু নিরাপত্তারক্ষীদের বক্তব্য, আগাম অনুমতি ছাড়া মন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করা যাবে না। ফলে তাঁদের চলে যেতে বলা হয়। কিন্তু সাক্ষাতের দাবিতেই অনড় থাকেন বিক্ষোভকারীরা। ফলে ব্রাত্য বসুর বাড়ির সামনের পরিস্থিতি এই মুহূর্তে তপ্ত।
[আরও পড়ুন: জন্মদিনে Dilip Ghosh-কে বাংলায় শুভেচ্ছা বার্তা মোদির, আপ্লুত রাজ্য BJP সভাপতি]
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন শিক্ষামন্ত্রীর বাড়ির সামনে জমায়েতকারীরা সকলেই ২০১৬ সালের SSC পরীক্ষায় উত্তীর্ণ। মেধাতালিকায় তাঁদের নামও রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও নিয়োগপত্র হাতে পাননি। নিয়োগে অস্বচ্ছতার অভিযোগ তুলে গত বছর তাঁরা টানা অনেকদিন সল্টলেকে অবস্থান বিক্ষোভে শামিল হয়েছিলেন। এই সমস্যা সমাধানের জন্য সরকার হস্তক্ষেপ করে ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল গড়ে দেয়। পরবর্তীতে দেখা যায়, এই ৫ জনই শিক্ষক হিসেবে চাকরিতে যোগ দিয়েছেন। ফলে অস্বচ্ছতা নিয়ে অভিযোগের সুর আরও চড়ে। ফের ‘বঞ্চিত’ প্রার্থীরা অনশনে বসেন। এখনও তাঁরা সল্টলেকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান করছেন। আর রবিবার নিজেদের দাবিদাওয়া নিয়ে শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন।