shono
Advertisement

Breaking News

SSC Recruitment Scam: কেন গ্রেপ্তার হলেন পার্থ? কী এই এসএসসি দুর্নীতি? জেনে নিন

এই মুহূর্তে নিয়োগ সংক্রান্ত একাধিক মামলার তদন্ত করছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলি।
Posted: 06:16 PM Jul 23, 2022Updated: 06:16 PM Jul 23, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে (SSC Recruitment Scam) তোলপাড় গোটা রাজ্য। পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মতো ‘রাঘব বোয়াল’ ইতিমধ্যেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। অভিযোগ উঠছে, রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ প্রক্রিয়ার সর্বস্তরে দুর্নীতির ছাপ রয়েছে। প্রাথমিক, উচ্চ প্রাথমিক এমনকী অশিক্ষক কর্মচারি নিয়োগের ক্ষেত্রেও নাকি দুর্নীতি হয়েছে।চলুন গোড়া থেকে দেখে নেওয়া যাক এই SSC নিয়োগ দুর্নীতি কী?

Advertisement

রাজ্যে নিয়োগ ক্ষেত্রে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে মামলা হয়েছে।

প্রথম মামলা:
২০১৪ SLST-র মাধ্যমে স্কুলে শিক্ষক নিয়োগের বিবৃতি।
২০১৬ সালে শুরু হয় নিয়োগ প্রক্রিয়া।
অভিযোগ ওই নিয়োগে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। এমন অনেকে চাকরি পেয়েছেন যাদের নাম মেধা তালিকায় ছিলই না। এই মামলাতেই অভিযুক্ত ছিলেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী।

[আরও পড়ুন: SSC দুর্নীতি মামলা: পার্থর সঙ্গে মেয়ের ‘ঘনিষ্ঠ’ সম্পর্কের কথা জানতেন? কী বলছেন অর্পিতার মা]

দ্বিতীয় মামলা অশিক্ষক কর্মী নিয়োগ নিয়ে।
২০১৬ সালে রাজ্যে ১৩ হাজার অশিক্ষক কর্মী নিয়োগের বিবৃতি দেয় SSC।
এই সংক্রান্ত প্যানেলের মেয়াদ শেষ হয়ে যায় ২০১৯ সালে।
অভিযোগ পরে ওই মেয়াদ উত্তীর্ণ প্যানেল থেকেই পাঁচশোর বেশি কর্মী নিয়োগ করা হয়।

আরেকটি মামলা প্রাথমিক টেট নিয়ে।
অভিযোগ ২০১৪ সালে প্রাথমিক টেটে উত্তীর্ণ না হয়েও চাকরি পেয়েছেন।
অভিযোগ এমন বহু পরীক্ষার্থীকে চাকরি দেওয়া হয়েছে যারা সাদা খাতা জমা দিয়েছেন, বা শুধু নাম লিখে জমা দিয়েছেন।
এই নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করার জন্য আলাদা একটি উপদেষ্টা কমিশন তৈরি করা হয়।
অভিযোগ সেই উপদেষ্টা কমিটিও নাকি এই নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত।
এই অভিযোগে ২৬৯ জনকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট

আরেকটি মামলায় বলা হয়েছে ২০১৪ সালের টেট পরীক্ষায় ভুল প্রশ্ন করা হয়েছিল। সেই ভুল প্রশ্নের ভিত্তিতেই নির্দিষ্ট কিছু পরীক্ষার্থীকে নম্বর দিয়ে চাকরি দেওয়া হয়েছে।

[আরও পড়ুন: SSC দুর্নীতি মামলা: পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অধ্যাপক মোনালিসা দাস, তাঁর সম্পত্তির হিসেব দেখে চমকে যাবেন]

এই মামলাগুলির আলাদা আলাদা করে সিবিআই এবং ইডি তদন্ত করছে। রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী, প্রাক্তন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী, প্রাক্তন শিক্ষা সচিব, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি সকলেই এই মামলায় অভিযুক্ত। ইতিমধ্যেই এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আগামী দিনে আরও একাধিক হেভিওয়েটের দিকে নজর রয়েছে কেন্দ্রীয় এজেন্সিগুলির।  

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement