শুভঙ্কর বসু: কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta High Court) নির্দেশের জের। মুর্শিদাবাদের এক শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল পশ্চিমবঙ্গ স্কুল সার্ভিস কমিশন। সাম্প্রতিক সময়ে এমন পদক্ষেপ অত্যন্ত বিরল বলেই দাবি ওয়াকিবহাল মহলের।
SSC-এর নবম-দ্বাদশ শ্রেণির শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন প্রশান্ত দাস নামে এক ব্যক্তি। দাবি করেছিলেন, মেধাতালিকায় উপরের দিকে নাম থাকা সত্ত্বেও তিনি চাকরি পাননি। কিন্তু নীলমণি বর্মন নামে এক ব্যক্তির নাম মেধাতালিকায় নিচের দিকে থাকলেও তিনি চাকরি পেয়েছেন। এই মর্মে প্রশান্ত দাসের হয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা করেন আইনজীবী ফিরদৌস শামিম। অক্টোবরে দায়ের হয়েছিল সেই মামলা।
[আরও পড়ুন: Kolkata Municipal Election: কলকাতায় পুরভোটের দায়িত্ব সামলাবে ৩২ হাজার পুলিশ, কমিশনকে প্রাথমিক তথ্য দিল রাজ্য]
ওই মামলাটি উঠেছিল বিচারপতি অমৃতা সিংহের সিঙ্গল বেঞ্চে। সেই মামলার শুনানিতে আদালতে এসএসসি জানায় যে, ওই নিয়োগে কিছু সমস্যা ছিল। এরপরই আদালতের তরফে প্রশ্ন তোলা হয়, নিয়োগে ভুল থাকলে কেন বেতন দেওয়া হচ্ছে ওই শিক্ষককে। এসএসসির তরফে জানানো হয়, মামলাটি বিচারাধীন বলে কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি। এই যুক্তিতে অসন্তুষ্ট হয় হাই কোর্ট। অবিলম্বে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হয়।
নভেম্বরের ২২ তারিখ মামলার শুনানি ছিল। কিন্তু অনিবার্য কারণবশত তা বাতিল হয়ে যায়। এরপরই এসএসসির তরফে চিঠি দিয়ে মামলাকারী প্রশান্ত দাসের আইনজীবী ফিরদৌস শামিমকে জানানো হয়েছে, নীলমণি বর্মনের চাকরি বাতিলের বিষয়টি। এবিষয়ে মামলাকারীর আইনজীবী বলেন, “এটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়, এরকম আরও অনেক ঘটনা রয়েছে। সব ক্ষেত্রেই অবিলম্বে পদক্ষেপ গ্রহণ প্রয়োজন।”