শুভঙ্কর বসু: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) ব্যক্তিগত নথি কীভাবে বাইরে গেল? গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় এবার এই প্রশ্ন তুলল কলকাতা হাই কোর্টের (Calcutta HC) ডিভিশন বেঞ্চ। মামলায় স্কুল সার্ভিস কমিশন দাবি করেছে, সই স্ক্যান করা হয়েছে। এই দাবির পরিপ্রেক্ষিতেই বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ একাধিক প্রশ্ন তোলেন।
বিচারপতিদের প্রশ্ন, কমিশনের ব্যক্তিগত নথি অন্য কারও হাতে কীভাবে গেল, সই বা কীভাবে হল? পাসওয়ার্ডই কেউ পেল কীভাবে? এরপর তাঁরা আরও বলেন, ”যদি আপনারা না করে থাকেন কীভাবে ডিজিটাল সই পেতে পারে অন্য কেউ? অবিলম্বে কমিশনের কাছে ওয়েবসাইটের তথ্য চেয়েছে আদালত। দু’দিনের মধ্যে ওয়েবসাইটের তথ্য জমা দিতে হবে কমিশনকে।
[আরও পড়ুন: রুশ চপার থেকে ঝাঁকে ঝাঁকে বোমা, ইউক্রেনে নিহত তিনশোরও বেশি]
বৃহস্পতিবার মামলার শুনানিতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন কমিশনের উদ্দেশ্য প্রশ্ন করেন, ”কী মনে হয় কমিশন এখনও ঠিক ভাবে কাজ করছে? একজন প্রশাসককে কমিশনের সর্বোচ্চ পদে বসানো উচিৎ নয় কি? হয় আপনারা বলুন বেআইনি নিয়োগ হয়েছে না হয় বলুন হয়নি।” কমিশনের পক্ষে আইনজীবী কিশোর দত্ত উত্তরে বলেন, ”এক জায়গার নিয়োগ অন্য জায়গায় হয়েছে। বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে নিয়োগের আগে বিষয়টি কমিশনকে জানানো হয়েছিল, কিন্তু কমিশন তার পরেও সবুজ সংকেত দেয়।” আদালত অবশ্য স্পষ্ট করে জানিয়েছে, এই ধরনের দুর্নীতি কমিশনেরই দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এতে আদালত চুপ করে থাকতে পারে না।
[আরও পড়ুন: রুশ হানায় ইউক্রেন থেকে নিরাপদে শিলিগুড়ি ফিরলেন পড়ুয়া, আটকে কয়েকজন]
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি এসএসসি গ্রুপ ডি (Group D) নিয়োগ মামলায় সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশে অন্তবর্তী স্থগিতাদেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চে। আগামী ২ সপ্তাহ এই মামলার শুনানি হবে না সিঙ্গল বেঞ্চে, এমনই নির্দেশ ছিল। তবে ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি ছিল বৃহস্পতিবার। তাতেই এসব প্রশ্ন উঠেছে।