সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আপাতত জেল হেফাজতে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। তাঁর ব্যক্তিগত সচিব সুকান্ত আচার্য এবং অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি (ওএসডি) প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়কে কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অধীনস্থ কর্মিবর্গ দপ্তর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার এই মর্মে নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।
২০১১ সালে পার্থ চট্টোপাধ্যায় শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন। সেই সময় তাঁর ব্যক্তিগত সচিব ছিলেন সুকান্ত আচার্য। পরবর্তীকালে রাজ্যের শিল্পমন্ত্রী পদে থাকাকালীনও সুকান্তই ছিলেন তাঁর ব্যক্তিগত সচিব। পরিষদীয় দপ্তরে পার্থর ওএসডি বা অফিসার অন স্পেশ্যাল ডিউটি ছিলেন প্রবীর বন্দ্যোপাধ্যায়। এসএসসি দুর্নীতি মামলা নিয়ে তদন্ত চলাকালীন সুকান্ত ও প্রবীর দু’জনেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার নজরে ছিল। সুকান্তর বাড়িতে তল্লাশিও চালায় ইডি। জেরার জন্য তলবও করা হয় তাঁকে। নিয়োগ দুর্নীতিতে নাম জড়ানো দুই আধিকারিককে এবার কম্পালসারি ওয়েটিংয়ে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নিল নবান্ন।
[আরও পড়ুন: কমনওয়েলথ গেমস: কুস্তিতে সোনা জয় বজরং-সাক্ষী-দীপকের, রুপো অংশু মালিকের]
উল্লেখ্য, গত ২২ জুলাই পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নাকতলার বাড়িতে হানা দেয় ইডি। চলে জিজ্ঞাসাবাদ। পার্থ ‘ঘনিষ্ঠ’ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়িতেও তল্লাশি চালায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ওইদিন সন্ধের দিকে অর্পিতার টালিগঞ্জের অভিজাত আবাসনের ফ্ল্যাট থেকে ২১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকা, সোনা, বিদেশি মুদ্রা বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। একটানা প্রায় ২৭ ঘণ্টা জিজ্ঞাসাবাদের পর গ্রেপ্তার করা হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তার ঠিক ঘণ্টাখানেকের ব্যবধানে ইডি গ্রেপ্তার করে অর্পিতাকেও। এরপর ফের মডেল-অভিনেত্রী অর্পিতার বেলঘরিয়ার রথতলার ফ্ল্যাট থেকেও নগদ টাকা ও সোনা উদ্ধার হয়। ইডি হেফাজত শুক্রবারই শেষ হয়েছে দু’জনের। আপাতত ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে পার্থ ও অর্পিতা।
পার্থ চট্টোপাধ্যায় রয়েছেন প্রেসিডেন্সি জেলে। অর্পিতার ঠিকানা আলিপুর মহিলা সংশোধনাগার। ব্যাঙ্কশাল আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, দু’জনেরই নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে হবে। একজন তদন্তকারী আধিকারিকের সঙ্গে দু’জন জেলে গিয়ে তাঁদের জেরা করতে পারবেন। অর্পিতার প্রাণ সংশয়ের আশঙ্কার কথা মাথায় রেখে তাঁর খাবার এবং জল পরীক্ষার নির্দেশ বিচারকের।