গোবিন্দ রায়: কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী প্রাপ্ত বেতনের একাংশ প্রথম কিস্তিতে ফেরত দিয়েছেন রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর মেয়ে অঙ্কিতা (Ankita Adhikari)। হাই কোর্টে এদিন তাঁর আইনজীবী জানান, প্রথম কিস্তিতে ৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন মন্ত্রীকন্যা। বাকি টাকাও সময়মতো ফেরত দেবেন বলেও জানান তিনি।
কোচবিহারের ইন্দিরা বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা ছিলেন মেখলিগঞ্জের বিধায়ক তথা রাজ্যে স্কুলশিক্ষা দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর (Paresh Adhiakri) মেয়ে অঙ্কিতা। তিনি ৪৩ মাস চাকরি করছেন। তবে সম্প্রতি এসএসসি নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি মামলায় সিবিআই তদন্ত শুরু হওয়ার পর অঙ্কিতার নিয়োগ বেআইনি বলে অভিযোগ ওঠে। বাবার সুপারিশেই অঙ্কিতা যোগ্য নম্বর না পেলেও চাকরিতে যোগ দেন বলে অভিযোগ। মন্ত্রী পরেশ অধিকারীর পাশাপাশি জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অঙ্কিতাকেও ডেকে পাঠায় সিবিআই। কিন্তু তিনি হাজিরা এড়ান।
[আরও পড়ুন: ‘চাঁদা তুললেই বহিষ্কার’, একুশে জুলাইয়ের প্রস্তুতি বৈঠকে কড়া হুঁশিয়ারি অভিষেকের]
এরপর হাই কোর্টের (Calcutta High Court) বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দেন, মন্ত্রীর মেয়ে অঙ্কিতা অধিকারী স্কুলে ঢুকবে না। অঙ্কিতা অধিকারী ইন্দিরা গার্লস হাইস্কুলের রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সহকারী শিক্ষিকা। সেই স্কুলে ঢুকতে পারবেন না অঙ্কিতার পরিবারের সদস্য, পরিজনরাও। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ, ৪৩ মাস স্কুলে চাকরি করে যে বেতন পেয়েছেন তিনি, তার সমস্ত অর্থ হাই কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে ফিরিয়ে দেবেন। ৭ জুন ও ৭ জুলাই – দুই কিস্তিতে বেতন ফেরানোরও নির্দেশ দেন বিচারপতি। সেই অনুযায়ী প্রথম কিস্তিতে ৭ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা ফেরত দিয়েছেন মন্ত্রীকন্যা।
এসএসসি দুর্নীতি নিয়ে জলঘোলার মাঝে শোনা যায়, রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক হওয়ার আবেদন করেছেন পরেশ অধিকারীর মেয়ে। কলেজ সার্ভিস কমিশনে (College Service Commission) ইন্টারভিউয়ের ডাকও পেয়েছিলেন। তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই নানা প্রশ্ন ওঠে। অঙ্কিতার নাম সামনে আসার পর আচমকা ইন্টারভিউ প্রক্রিয়া স্থগিত করে দেয় কলেজ সার্ভিস কমিশন।