দীপঙ্কর মণ্ডল: অবশেষে আসতে চলেছে সুদিন। আদালতের নির্দেশ মেনে এসএসসির বঞ্চিত চাকরিপ্রার্থী ক্যানসার আক্রান্ত সোমা দাসের নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করল স্কুলশিক্ষা দপ্তর।
তিনদিন আগে কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court) তাঁর নিয়োগ প্রক্রিয়া চালুর নির্দেশ দিয়েছিল। আজ, সোমবার এসএসসিকে শিক্ষাসচিব নির্দেশ দেন, সোমাকে আগামী সাতদিনের মধ্যে সহকারী শিক্ষিকার চাকরি দিতে হবে। নবম-দশম শ্রেণির বাংলা বিষয়ে শিক্ষিকা হতে চলেছেন সোমা। এদিন তিনি জানিয়েছেন, “বিষয়টি আদালতের বিচারাধীন। এই চাকরি আমার অধিকার। আমি চাকরি করব। তবে আমাদের আন্দোলন থেমে যাবে না। আন্দোলন চালিয়ে যাব। যতদিন না বঞ্চিত প্রত্যেক চাকরিপ্রার্থী নিজেদের প্রাপ্য চাকরি পাবে, ততদিন আমাদের আন্দোলন চলবে।”
[আরও পড়ুন: ‘ঘর ওয়াপসি’র পরই গুরুদায়িত্ব অর্জুনের কাঁধে, সামলাতে হবে বনগাঁ সাংগাঠনিক জেলার দায়িত্ব!]
স্কুল সার্ভিস কমিশনের (SSC) স্টেট লেভেল সিলেকশন টেস্টে উত্তীর্ণ হওয়ার পরেও চাকরি না পেয়ে বেশ কয়েকবছর ধরে আন্দোলন চালাচ্ছেন হাজার হাজার চাকরিপ্রার্থী। ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তিন দফায় ৩৯৩ দিন ধরে আন্দোলন চলে নবম-দশম শ্রেণির সহকারী শিক্ষক পদে চাকরিপ্রার্থীদের। ২০১৯ সালে কলকাতা প্রেস ক্লাবের সামনে এই চাকরিপ্রার্থীরা বেশ কয়েকমাস অনশন-আন্দোলনও চালান। তাঁদের মধ্যে অন্যতম বীরভূমের নলহাটির বাসিন্দা সোমা দাসও। তিনি রক্তের ক্যানসারে আক্রান্ত। এসএসসির আন্দোলনের মাঝেই চলছে তাঁর চিকিৎসা।
ব্লাড ক্যানসারে আক্রান্ত তরুণীর আন্দোলনে অংশগ্রহণের খবর সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হতেই স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা দায়ের করেছিল আদালত। আইনজীবী সুতনু পাত্র ও সুদীপ্ত দাসগুপ্তকে স্পেশ্যাল অফিসার হিসেবে নিয়োগ করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এরপর সোমাকে ডেকে পাঠিয়ে তাঁকে অন্য চাকরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন বিচারপতি। কিন্তু তা ফিরিয়ে দেন সোমা। জানিয়েছিলেন, অর্থ উপার্জন তাঁর লক্ষ্য নয়। শিক্ষক হওয়াই তাঁর স্বপ্ন। অবশেষে তাঁর সেই স্বপ্ন বাস্তবায়িত হতে চলেছে। তবে অন্যদের ন্যায্য পাওনার জন্য এখনও লড়াই চালিয়ে যেতে চান সোমা।