সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee) মতোই আচমকা বদলে গিয়েছে তাঁর বোন সংগীতার জীবন। ধূপকাঠি বিক্রেতা থেকে সরাসরি শিক্ষা দপ্তরে চাকরি। এতদিন কারও সন্দেহ না হলেও অর্পিতার গ্রেপ্তারির পর স্বাভাবিকভাবেই নজরে সংগীতা। কীভাবে চাকরি পেয়েছিলেন ষষ্ঠ শ্রেণি পাশ তরুণী?
অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারির পরই উঠে এসেছিল একটি নাম, কল্যাণ ধর। প্রথমে ব্যবসা সংক্রান্ত নথিতে মিলেছিল তাঁর নাম। যদিও পরবর্তীতে প্রকাশ্যে আসে অন্য তথ্য। জানা যায়, সম্পর্কে অর্পিতার জামাইবাবু তিনি। অর্পিতার বোন সংগীতার স্বামী কল্যাণ। থাকতেন বেলঘরিয়া কিশোরপল্লি এলাকায়। দীর্ঘদিন ধরে অর্পিতার গাড়ি চালাতেন কল্যাণ। তদন্ত যত এগিয়েছে, প্রকাশ্যে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে, একটা সময়ে কল্যাণ ও সংগীতার সংসারে অনটন ছিল নিত্য সঙ্গী। পেটের ভাত জোগাড় করতে রান্নার কাজ করতেন সংগীতা। পাশাপাশি বিক্রি করতেন ধূপকাঠি। শিক্ষাগত যোগ্যতা ছিল, ষষ্ঠ শ্রেণি উত্তীর্ণ।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে টানা তিনদিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা হাজারের বেশি, সংক্রমণের শীর্ষে কলকাতাই]
প্রতিবেশী সূত্রে খবর, আচমকাই শিক্ষাদপ্তরে চাকরি পান সংগীতা। তারপর এক লহমায় বদলে যায় কল্যাণ-সংগীতার জীবনযাত্রা। প্রতিবেশীদের তোয়াক্কা করতেন না। চাকরি পাওয়ার পর কিছুদিন ভাড়া ও থেকেছেন সংগীতা-কল্যাণ। পরে শরিকি জায়গায় নিজেদের অংশে বাড়ি করেন। অর্পিতার সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল তাঁদের। রাতারাতি সরকারি চাকরি, জীবনযাত্রা বদল এতদিন প্রতিবেশীদের মনে প্রশ্ন না জাগলেও, এবার নানারকম গুঞ্জন এলাকায়। তবে কি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জন্যই শিক্ষাদপ্তরে চাকরি পেয়েছেন অর্পিতার বোন সংগীতা?
প্রসঙ্গত, এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় প্রায় ২৭ ঘণ্টা জেরার পর ২৩ জুলাই গ্রেপ্তার হয়েছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee)। সেই সূত্রেই টালিগঞ্জের বিলাসবহুল এক আবাসনে তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হয় নগদ প্রায় ২২ কোটি টাকা। পরবর্তীতে বেলঘরিয়ার একটি ফ্ল্যাটে মেলে প্রায় নগদ ২৮ কোটি টাকা।