সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রার্থী তালিকা, অ্য়াডমিট কার্ডের পর এবার ওএমআর শিটের পাহাড় শান্তনু ঘনিষ্ঠ প্রোমোটার অয়ন শীলের অফিসে। রাতভর তল্লাশির পর রবিবার সকাল থেকে ফের অভিযান শুরু করে ইডি। তাতেই দেখা যায় অয়ন শিলের সল্টলেকের অফিস থেকে ৩৫০-৪০০টি ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে। এই প্রাপ্ত নথির ভিত্তিতে আরও একবার জেরা করা হচ্ছে অয়নকে।
শনিবার হুগলিতে অয়ন শীলের বাড়িতেও ইডি হানা দেয়। এরপর তাঁর একাধিক ফ্ল্যাট, অফিসেও তল্লাশি চালায় তারা। রাতে অয়নকে সল্টলেকে এনে চলে জেরা। এদিন সকালে ফের পুলিশ কুকুর নিয়ে অয়নের অফিসে তল্লাশি শুরু করেন ইডি আধিকারিকরা। সূত্রের খবর, রাতেই অয়নের অফিস থেকে চাকরি প্রার্থীদের নামের তালিকা, অ্য়াডমিট কার্ড-সহ একাধিক ডিজিটাল নথি উদ্ধার হয়েছিল। সেই নথি থেকে প্রাপ্ত তথ্য় নিয়ে জেরা করা হয় অয়নকে। ম্যারাথন জেরা চলে। যে সমস্ত অ্য়াডমিট কার্ড উদ্ধার হয়েছে, বা প্রার্থী তালিকায় যাদের নাম ছিল, তারা চাকরি পেয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখছে ইডি। এদিন সকালে সরাসরি ওএমআর শিট উদ্ধার হয়েছে। একজন প্রোমোটারের অফিসে নিয়োগ সংক্রান্ত নথি কীভাবে এল, তা নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।
[আরও পড়ুন: মামাতো ভাইয়ের শিক্ষকতার ‘অবৈধ’ চাকরি! ফাঁস করে দিতে চাইতেই কি সপরিবারে খুন দুর্গাপুরের যুবক?]
সূত্রের খবর, রাজ্যের বিভিন্ন পুরসভাগুলিতে চাকরি দেওয়ার বিষয়ে অয়নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। পুরসভায় চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য বিভিন্ন জেলায় সে নিজে স্কুল খোলে। পুরো বিষয়টি এক ধরনের আইওয়াশ। সূত্রের খবর, বহু পুরসভার চেয়ারম্যান তাঁর সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখতেন। এবং তাঁর স্কুলে যাঁরা ভরতি হতেন তাঁদের মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে পুরসভায় চাকরি দেওয়া হত। আর তাতেই একদিকে অয়ন অন্যদিকে দুর্নীতিগ্রস্ত চেয়ারম্যানরা ফুলেফেঁপে উঠতেন। তাই ইডির আধিকারিকদের স্ক্যানারে রয়েছেন অয়ন। এবার সেই অয়নের অফিস থেকেই মিলল ওএমআর শিট। ফলে তার দুর্নীতি যে শুধুমাত্র পুরসভায় আটকে ছিল না, তা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে।