shono
Advertisement
Supreme Court

চাকরি বাতিল মামলা: সবপক্ষের বক্তব্য শুনতে নোডাল অ্যাডভোকেট নিয়োগ সুপ্রিম কোর্টের

Published By: Sucheta SenguptaPosted: 11:37 AM Jul 16, 2024Updated: 04:50 PM Jul 16, 2024

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: চাকরি বাতিল মামলায় আবেদনকারীদের ভাগ্য ঝুলেই রইল। মঙ্গলবার দেশের শীর্ষ আদালতে মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সবপক্ষের বক্তব্য শুনবেন বলে জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি (CJI) ডিওয়াই চন্দ্রচূড়। সেদিকেই তাকিয়ে ছিলেন অনিশ্চয়তায় থাকা চাকরিপ্রার্থীরা। কিন্তু এদিনও SSC মামলার শুনানি পিছিয়ে গেল। সুপ্রিম কোর্ট সূত্রে খবর, অন্তত ৩ সপ্তাহ পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি। এর মধ্যে ২ সপ্তাহ পর সব পক্ষকে ফের পালটা হলফনামা জমা দিতে হবে। সর্বোচ্চ আদালতের তরফে নোডাল অ্যাডভোকেট বেছে দেওয়া হয়েছে। তাঁরা দুসপ্তাহের মধ্যে সেই কাজ করবেন। 

Advertisement

মঙ্গলবার শীর্ষ আদালতের (Supreme Court) পক্ষ থেকে বিভিন্ন পক্ষের বক্তব্য শোনার জন্য আলাদা আলাদা ভাগ করে দেওয়া হয়েছে।  তার মধ্যে রয়েছে রাজ্য সরকার, এসএসসি, রিট পিটিশনার অর্থাৎ আবেদনকারী, যাঁদের চাকরি বাতিল হয়েছে, সেই পক্ষ। এছাড়া যাঁদের বিরুদ্ধে এখনও কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি, তাঁদের বক্তব্য, সিবিআইয়ের (CBI) বক্তব্য এবং যাঁদের নথি যাচাই হয়নি, তাঁদেরও মতামত শোনা হবে। এই সব পক্ষের বক্তব্য জানানোর জন্য সর্বোচ্চ আদালতের তরফে 'নোডাল অ্যাডভোকেট' ঠিক করে দেওয়া হয়েছে। তাঁরাই দুসপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্ট পক্ষের বক্তব্য নথিভুক্ত করে পেশ করবে সর্বোচ্চ আদালতে। শীর্ষ আদালত সূত্রে খবর, এই পাঁচ পক্ষ ছাড়া অন্য কোনও পক্ষ বক্তব্য জানাতে চাইলে, লিখিতভাবে সুপ্রিম তা জানাতে পারবে। তবে তা পাঁচ পাতার মধ্যেই রাখতে হবে।  

[আরও পড়ুন: ওমানের মসজিদের কাছে বন্দুকবাজের তাণ্ডব! নিহত অন্তত ৪]

২০১৬ সালের এসএসসি (SSC) মামলায় প্রায় ২৬ হাজার জনের চাকরিতে নিয়োগ নিয়ে জটিলতা দেখা দেয়। অভিযোগ, বেআইনিভাবে অতিরিক্ত পদ তৈরি করে ২৫ হাজার ৭৬৩ জনকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল। এই চাকরির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে কলকাতা হাই কোর্টে দায়ের হওয়া মামলার রায়ে চাকরি বাতিল করে দেওয়া হয়। এমনকী এই চাকরিজীবীদের বেতনও ফেরতেরও নির্দেশ দেওয়া হয়। এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে শীর্ষ আদালতে আবেদনকারীরা গেলে তাতে স্থগিতাদেশ (Stay Order) দেয়। 

[আরও পড়ুন: ‘তোলাবাজি’র প্রতিবাদ করে পুলিশের হুমকির মুখে কৌস্তভ! সোশাল মিডিয়ায় ফাঁস কথোপকথন]

গত ৭ মে এই সংক্রান্ত মামলা সুপ্রিম কোর্টে উঠলে প্রধান বিচারপতি একাধিক প্রশ্ন তোলেন। পরবর্তী শুনানির দিন ঠিক হয় ১৬ জুলাই। এদিন সবপক্ষের বক্তব্য শুনবেন বলে জানিয়েছিলেন প্রধান বিচারপতি। তবে আজ সেই বক্তব্য নথিভুক্ত করার জন্য নোডাল অ্যাডভোকেট ঠিক করে দেওয়া হল। তিন সপ্তাহ পর, মঙ্গলবার ফের শুনানি হবে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। 

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • সুপ্রিম কোর্টে ঝুলে রইল চাকরি বাতিল মামলা।
  • দুসপ্তাহের মধ্য়ে সবপক্ষকে হলফনামা দেওয়ার জন্য নোডাল অ্যাডভোকেট ঠিক করে দিল শীর্ষ আদালত।
  • তিন সপ্তাহ পর ফের শুনানি।
Advertisement