রাহুল রায়: পুজোর আগে ৯২৩ জন যোগ্যপ্রার্থীর হাতে নিয়োগপত্র তুলে দেওয়ার নির্দেশ বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের (Justice Abhijit Gangopadhyay)। কাউন্সেলিংয়ের দিনই গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি-র যোগ্যপ্রার্থীদের হাতে নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে। ২৮ সেপ্টেম্বের মধ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করতে হবে। তবে এসএসসির আইনজীবীর দাবি,একসঙ্গে এতজনের দ্রুত নিয়োগ সম্ভব হবে না। ধাপে ধাপে ১০০ জনের নিয়োগের নির্দেশ দিক আদালত।
এসএসসির গ্রুপ সি এবং গ্রুপ ডি বিভাগে নিয়োগে দুর্নীতি হওয়ায় বেতন বন্ধ এবং চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। মামলাকারী লক্ষ্মী টুঙ্গারের করা মামলায় হাই কোর্ট কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছিল। আদালতে নির্দেশে গঠিত প্রাক্তন বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের কমিটির রিপোর্ট উল্লেখ করা হয়েছিল, চতুর্থ শ্রেণি বা গ্রুপ ডি-র মোট ৬০৯ জনকে অবৈধভাবে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অমান্য করে বিধানসভায় গরহাজির ২৭ TMC বিধায়ক, কড়া ব্যবস্থার পথে দল]
৯ ফেব্রুয়ারি গ্রুপ ডি-র ৫৭৩ জনের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। বন্ধ করে দেওয়া বেতনও। এবার মেধার ভিত্তিতে সেই শূন্যপদে নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। পুজোর আগেই নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কাউন্সেলিংয়ের দিনেই নিয়োগপত্র তুলে দিতে হবে। এসএসসির তরফের আইনজীবী সুতনু পাত্র জানান, এত অল্প সময়ের মধ্যে সম্ভব হবে না। বিচারপতি ১০০ জন করে ধাপে ধাপে নিয়োগের নির্দেশ দেন।
এদিকে পুজোর আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে গ্রুপ সি বিভাগে নিয়োগ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ৩৫০ জনে বেতন বন্ধের পাশাপাশি চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিল আদালত। এবার পুজোর আগে সেই শূন্যপদেও নিয়োগের নির্দেশ দিলেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়। ২৮ সেপ্টেম্বরের মদ্যে কাউন্সেলিং করে নিয়োগ করতে হবে।
[আরও পড়ুন: সব বেআইনি নিয়োগ বাতিল হবে! ৭ দিনের মধ্যে CBI ও কমিশনের কাছে রিপোর্ট তলব বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়ের]
২০১৪ সালের প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে প্রশ্ন ভুল মামলায় চলতি মাসে পরপর তিন ধাপে ১৮৯ জন টেট উত্তীর্ণকে আইনি প্রক্রিয়া মেনে নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। প্রথম ধাপে ২৩ জন, পরে ৫৪ জন এবং শেষে ১১২ জন টেট উত্তীর্ণর আগামী ২৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে নিয়োগ সম্পন্ন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে ইন্টারভিউও নেওয়া হয়েছে তাঁদের।