অর্ণব আইচ: ফের জেল হেফাজতে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত মানিক ভট্টাচার্য। আগামী ১০ নভেম্বর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক। দুর্নীতির সঙ্গে ‘প্রত্যক্ষ যোগ’ রয়েছে তাঁর, দাবি ইডি’র আইনজীবীর। আর সেই যুক্তিতেই খারিজ মানিকের জামিনের আরজি।
শুক্রবার শুনানির শুরু থেকেই জামিনের আবেদন জানান মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) আইনজীবী। তবে তার তীব্র বিরোধিতা করে ইডি। মানিকের স্ত্রীর ‘ভূতুড়ে’ জয়েন্ট অ্যাকাউন্টের প্রসঙ্গও ওঠে শুনানিতে। মানিকের স্ত্রীর অ্যাকাউন্টে ২ কোটি টাকা পাওয়া গিয়েছে। ইডির দাবি, শেষবার ২০০৯ সালে ওই অ্যাকাউন্টের কেওয়াইসি আপডেট হয়েছিল। অথচ আরেকজন অ্যাকাউন্ট হোল্ডার সম্পর্কে পিসেমশাই মৃত্যুঞ্জয় চক্রবর্তীর মৃত্যুর খবর জানানো হয়নি ব্যাংকে। ২০১৬ সালে তাঁর মৃত্যুর পরেও ব্যাংকে জমা পড়েনি কেওয়াইসি। দুর্নীতি আড়াল করতে মানিক ভট্টাচার্য নিজের স্ত্রীকে ঢাল হিসাবে কাজে লাগিয়েছেন বলেই সওয়াল জবাব চলাকালীন দাবি করে ইডি।
[আরও পড়ুন: ‘কালো টাকা সাদা করার পন্থা ডিয়ার লটারি’, বিস্ফোরক শুভেন্দু, পালটা দিল তৃণমূল]
ইডি’র তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, মানিক ভট্টাচার্য তদন্তে সহযোগিতা করেননি। তবে সে দাবি খারিজ করেন মানিকের আইনজীবী। তিনি দাবি করেছেন, যখনই তলব করা হয়েছে তখনই মানিক হাজিরা দিয়েছেন। তাঁর প্রশ্ন, ৯ অক্টোবর জেরা করে ছেড়ে দেওয়া হয়। তবে ১০ অক্টোবর এমন কী এমন কারণে গ্রেপ্তার করা হল মানিককে? দু’পক্ষের আইনজীবীর সওয়াল জবাব শোনার পর বিচারক বলেন, “উনি (মানিক ভট্টাচার্য) যদি জেরার সময় চুপ করে থাকেন, তাহলেও ইডি বলতেই পারে উনি সহযোগিতা করছেন না।”
উল্লেখ্য, গত ১০ অক্টোবর সল্টলেকের (Salt Lake) সিজিও কমপ্লেক্সে রাতভর জেরা হয় মানিককে। পরদিন ভোরেই গ্রেপ্তার করা হয় তাঁকে। পলাশিপাড়ার তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি শিক্ষক নিয়োগের ভুয়ো তালিকা দিয়েছিলেন, এছাড়া তিনি ঘুষও নিয়েছিলেন। উপরন্তু তদন্তে সহযোগিতা করছিলেন না তিনি, এমনই অভিযোগ করেছিলেন ইডি’র তদন্তকারীরা। এখনও সেই একই দাবিতে অনড় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।