সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডাকা হয়েছিল বেলা ১২ টায়। নির্ধারিত সময়ে বেশ অনেকটাই আগে ইডি দপ্তরে ঢুকলেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি তথা তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্য। মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে মামলা সংক্রান্ত বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যেতে পারে বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।
প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতিতে (Primary TET Scam) আগেই নাম জড়িয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের। সেই কারণে পদ থেকে অপসারণ করা হয়েছিল তাঁকে। সেই মামলায় এর আগেই তাঁকে সিবিআই তলব করেছিল। কিন্তু সেবার হাজিরা এড়িয়ে যান মানিক। নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারির পর মানিক ভট্টাচার্যকে তলব করে ইডি। আদৌ তিনি হাজিরা দেবেন কি না, তা নিয়ে একটা সংশয় ছিলই। তবে দেখা গেল তাঁকে ১২ টায় ডাকা হলেও পৌনে দশটা নাগাদ সিজিও কম্পলেক্সে পৌঁছে গিয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য।
[আরও পড়ুন: ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার আছে কী করতে? কীসের এত প্রচার?’, ছাত্রের চিকিৎসা নিয়ে পঞ্চায়েত প্রধানকে ভর্ৎসনা হাই কোর্টের]
এর আগে দুর্নীতি মামলায় প্রাথমিক পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya) স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব তলব করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। শুধু তাঁরই নয়, তাঁর স্ত্রী, পুত্র, পুত্রবধূ এবং মেয়ের (বিবাহ পর্যন্ত) সম্পত্তির হিসাবও হলফনামার আকারে জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এবার তাঁর সম্পত্তি খতিয়ে দেখতে ইডিও তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে চলেছে।
প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার রাজ্যের মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। সেদিনই দুর্নীতিতে অভিযুক্ত মোট ১৩ জনের বাড়িতে তল্লাশি চালানো হয়। যে তালিকায় ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক মানিক ভট্টাচার্যও। ইডি সূত্রে খবর, সেদিন তাঁর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল বিভিন্ন নথি। পাওয়া গিয়েছিল সিডিও। তারই সূত্র ধরে একাধিক তথ্য উঠে আসে ইডির হাতে। সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু প্রশ্নের উত্তর পাওয়ার জন্যই মানিককে তলব করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।