অর্ণব আইচ: আলিপুর আদালতে ঢোকার পথে ফের মুখ খুললেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এবার তাঁর গলায় শোনা গেল ধমকের সুর। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা সমস্ত অভিযোগ কি সত্যি, প্রশ্নে রীতিমতো মেজাজ হারালেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। আঙুল উঁচিয়ে বললেন, “চুপ করে থাকুন।”
প্রসঙ্গত, শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠছিল বহুদিন ধরেই। নিজেদের দাবিতে সংঘবদ্ধ হয়েছিলেন চাকরিপ্রার্থীরা। জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। তদন্তভার পায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এরপরই একে একে গ্রেপ্তার করা হয় প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, এসএসসি-র উপদেষ্টা কমিটির প্রাক্তন সদস্য শান্তিপ্রসাদ সিনহা, অশোক সাহা, মধ্যশিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়-সহ বেশ কয়েকজনকে।
[আরও পড়ুন: ছুটির দিনে গুজরাটের মোরবি ব্রিজ দেখতে যাওয়াই কাল, প্রাণ গেল বাংলার যুবকের]
আগের শুনানিতে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee)। অর্থাৎ ওইদিন তাঁকে আদালতে তোলার কথা ছিল। একই সঙ্গে কল্যাণময় গঙ্গোপাধ্যায়, সুবীরেশ ভট্টাচার্যদেরও আদালতে পেশ করার কথা ছিল। তবে ঘটনাচক্রে ওইদিন সকালে পার্থ-কল্যাণময়-সুবীরেশের ফাইল পাঠিয়ে দেওয়া হয় ভেকেশান কোর্টে। অর্থাৎ জেলের তরফে মনে করা হয়েছিল যে ভারচুয়ালি শুনানি হবে।
কিন্তু ভেকেশন কোর্টে ভারচুয়ালি শুনানির ব্যবস্থা নেই। ফলে ওইদিন শুনানি সম্ভব হল না। সশরীরে হাজিরার নির্দেশ থাকা সত্ত্বেও এই ভুল বোঝাবুঝিতে চূড়ান্ত ক্ষুব্ধ আদালত। আগামী সোমবার অর্থাৎ ৩১ অক্টোবর পার্থ চট্টোপাধ্যায়-সহ বাকিদের সশরীরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে খবর। ওইদিনের ঘটনায় প্রবল অসন্তুষ্ট হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের আইনজীবী। তবে সোমবার নির্দিষ্ট সময়মতো আদালতে নিয়ে যাওয়া হয় পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। আলিপুর আদালতে সশরীরে শুনানিতে অংশ নেবেন তিনি। তবে ইডি’র মামলায় ভারচুয়ালি হাজিরা দেবেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী।