বিক্রম রায়, কোচবিহার: সাতসকালে বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি (ED)। আত্মীয়ের বাড়িতেও তল্লাশির খবর পাওয়া গিয়েছে। কিন্তু গোটাটাই এসএসসি দুর্নীতি মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারী জেনেছেন সংবাদ মাধ্যম মারফত। কারণ, বর্তমানে কলকাতায় তিনি। কিন্তু বাড়িতে থাকলে কী করতেন? সহযোগিতা করতেন তদন্তে? ইডি আধিকারিকদের মুড়ি খাওয়াতেন বলেই কটাক্ষ করলেন পরেশ অধিকারী।
একুশে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) সিবিআই-ইডি ইস্যুতে সুর চড়িয়েছিলেন। বলেছিলেন, “বাড়িতে সিবিআই-ইডি এলে মুড়ি খাওয়াবেন!” রাত পেরতেই শুক্রবার সকালে পরেশ অধিকারীর বাড়িতে হানা দিয়েছে ইডি। এ বিষয়ে পরেশ অধিকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “কলকাতায় আছি। বাড়ির লোকের ফোন নিয়ে নিয়েছে, তাই কেউ যোগাযোগ করতে পারছে না। তাই জানি না ওখানে কী হচ্ছে।” এরপরই ব্যঙ্গাত্মক ভঙ্গিতে পরেশ বলেন, “সকাল সকাল এসেছেন, বাড়িতে থাকলে দিদির নির্দেশে মুড়ি খাওয়াতাম।” অর্থাৎ বক্তব্যেই বুঝিয়ে দিলেন, ইডি তল্লাশিকে গুরুত্ব দিতে নারাজ তিনি।
[আরও পড়ুন: বাঁকুড়ার বেসরকারি হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড, তিনতলা থেকে ঝাঁপ মহিলার]
শুধু পরেশ অধিকারী নন, শুক্রবার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে অভিযুক্ত ৭ জনের বাড়ি গিয়েছেন ইডি আধিকারিকরা। রাজ্যের মোট ১৩ টি জায়গায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে বলে খবর। একুশে জুলাইয়ের সভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, “ইডি, সিবিআই দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না।” ঠিক তার পরের দিনই রাজ্যের দুই মন্ত্রীর বাড়িতে ইডি হানা সম্পূর্ণ পরিকল্পনা মাফিক বলেই দাবি তৃণমূলের।
এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন বলেন, “একুশে জুলাইয়ের জনস্রোতে বিজেপি ভয় পেয়েছে, সেই কারণেই ইডি পাঠানো হল পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে।” তলব প্রসঙ্গে কংগ্রেস নেতা অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, “পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষক দু্র্নীতি জানতে ইডি, সিবিআই লাগবে না। যারা ভুক্তভোগী, তাঁরা পথে নেমে প্রতিবাদ করছে। তদন্ত চলছে, ক্ষমতা থাকলে প্রতিবাদ করুন।” এরপরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করেন তিনি। বলেন, “চাই না মমতা ভয় পান, কিন্তু পাচ্ছেন। তাই মোদিকে খুশি করার চেষ্টা করছে।”