ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য: নিজের রেকর্ড নিজেই ভাঙছে এসএসকেএম হাসপাতাল (SSKM Hospital)। দু'সপ্তাহ আগে এক যুবকের ব্রেন ডেথ ঘোষণার পর তার হৃদপিণ্ড এক প্রৌঢ়র শরীরে প্রতিস্থাপন হয়। প্রৌঢ় এখনও চিকিৎসাধীন। ক্রমশ অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। এবার আঠারো বছরের তরুণের শরীরে একই সঙ্গে ফুসফুস ও হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হল সেই পিজি হাসপাতালেই। বস্তুত, এ রাজ্যে প্রথম মরণোত্তর অঙ্গদানের মাধ্যমে দাতার দুটি অঙ্গ একই গ্রহীতা একযোগে পাচ্ছেন বলে দাবি চিকিৎসকদের।
এসএসকেএমের ট্রমা কেয়ারে চিকিৎসাধীন ৫২ বছরের প্রৌঢ় অরুণকুমার কোলের রবিবার রাতে ব্রেন ডেথ ঘোষণা করেন বিশেষজ্ঞরা। এর পরেই অরুণবাবুর পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। অরুণবাবুর জামাই সত্যজিৎ মণ্ডল জানান, পরিবারের সবাই একমত হয়ে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। শ্বশুরমশাই অন্যের মধ্যে বেঁচে থাকবেন।
[আরও পড়ুন: ফের অস্বস্তিতে রাজ্যপাল, এবার নৃত্যশিল্পীকে ধর্ষণের অভিযোগে নবান্নে জমা পড়ল তদন্ত রিপোর্ট]
উল্লেখ্য, গত ১০ মে রাস্তা পার হওয়ার সময় স্কুটির ধাক্কায় গুরুতর আহত হন। প্রথমে এমআর বাঙ্গুর রাতেই পিজির ট্রমা কেয়ার সেন্টারে চিকিৎসাধীন ছিলেন। রবিবার ব্রেন ডেথ ঘোষণার পর তাঁর দুটি অঙ্গের মাধ্যমে এক তরুণ রোগীকে নতুন জীবন দেওয়ার পরিকল্পনা করেন ওই হাসপাতালের চিকিৎসকেরা। পাশাপাশি ওই প্রৌঢ়ের একটি কিডনি পাচ্ছেন পিজিতে চিকিৎসাধীন ২৮ বছরের তরুণী ও আলিপুর সেনা হাসপাতালের ৩২ বছরের তরুণী। যকৃৎ পাচ্ছেন পিজি হাসপাতালেরই ৫১ বছরের প্রৌঢ়া। গঠিত হয়েছে বিভিন্ন বিশেষজ্ঞদের নিয়ে মেডিক্যাল টিম। ফুসফুস ও হৃদপিণ্ড প্রতিস্থাপনের কাজ শুরু হয় সোমবার রাত সাড়ে আটটা নাগাদ।
ব্রেন ডেথ হওয়া অরুণ কোলে পেশায় চাষি। হাসপাতাল সূত্রের খবর, ১১ মে প্রৌঢ়ের মস্তিষ্কের অস্ত্রোপচার করা হয়। কিন্তু তাতেও শারীরিক অবস্থার কোনও উন্নতি হয়নি। ফুসফুস ও হৃদপিণ্ড ছাড়াও দুটি চোখ এবং ত্বক সংগ্রহ করা হয়েছে।