সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিকিনি পরে ইনস্টাগ্রামে ছবি দেওয়ার কারণে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে এক অধ্যাপিকাকে। সেই অভিযোগ প্রকাশ্যে আসার পরেই সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় (St. Xaviers University) কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন নেটিজেনরা। এমনকী নজিরবিহীনভাবে ছাত্র আন্দোলনও শুরু হয় ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠানে। এহেন পরিস্থিতিতে সাফাই দেওয়ার জন্য আসরে নামলেন সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফেলিক্স রাজ। তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, কাউকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়নি।
একটি বিবৃতি দিয়ে ফেলিক্স রাজ (Felix Raj) বলেছেন, “সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের (St Xaviers Professor) সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সকল মানুষের সম্মান বজায় রাখতে সবসময় সচেষ্ট এই প্রতিষ্ঠান। সেই সঙ্গে পরিষ্কার ভাবে জানানো হচ্ছে, কোনও অধ্যাপিকাকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়নি। সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাউকে চাকরি ছেড়ে চলে যেতে বাধ্য করা হবে, এটা কল্পনা করাও অত্যন্ত অপমানজনক।” সেই সঙ্গে সকলের কাছে ফেলিক্স রাজের আবেদন, অযথা সেন্ট জেভিয়ার্সের বদনাম করা বন্ধ করা হোক।
[আরও পড়ুন: পুলিশ পরিচয়ে আর্থিক প্রতারণা! দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার আন্তর্জাতিক প্রতারণা চক্রের সদস্য]
সোশ্যাল মিডিয়াতেও যথেষ্ট নিন্দার মুখে পড়েছে এই প্রতিষ্ঠান। সেই প্রসঙ্গ টেনে এনে বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “গত কয়েকদিন ধরে মিডিয়ায় এই প্রতিষ্ঠানকে নিয়ে নানারকমের মন্তব্য করা হয়েছে। একজন অধ্যাপিকাকে জোর করে ইস্তফা দেওয়ানো হয়েছে, এই মর্মে প্রতিষ্ঠানের বেশ কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে বক্তব্য পেশ করা হচ্ছে। যদিও কাকে চাকরি ছাড়তে বাধ্য করা হয়েছে, সেই অধ্যাপিকার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি কোনও মিডিয়ার তরফে।” সেই সঙ্গেই মনে করিয়ে দিয়েছেন, সেন্ট জেভিয়ার্সের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সকলের সম্মান বজায় রাখা প্রতিষ্ঠানেরই দায়িত্ব।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালে সেন্ট জেভিয়ার্সে যোগ দেন অধ্যাপিকা। চাকরিতে যোগ দেওয়ার আগে বেশ কিছু ছবি ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করেছিলেন ওই তরুণী। কোনওভাবে সেই ছবিগুলি নেটদুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়ে। সেই ছবিগুলি দেখার পরে অভিযোগ দায়ের করেন এক ছাত্রের বাবা। অধ্যাপিকার দাবি, এই অভিযোগ পেয়েই তাঁকে চূড়ান্তভাবে অপমান করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা দিতে বাধ্য করা হয়। এমনকী ৯৯ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করে নোটিস পাঠায় সেন্ট জেভিয়ার্স কর্তৃপক্ষ। গোটা ঘটনার বিচার চেয়ে আইনি লড়াই শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন ওই অধ্যাপিকা।