স্টাফ রিপোর্টার: দক্ষিণ এশিয়ার জেসুইট উচ্চশিক্ষা ক্ষেত্রে এবং সমাজে অবদানের জন্য সম্মানিত হলেন কলকাতার সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ফাদার জন ফেলিক্স রাজ। শনিবার সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, কলকাতায় শুরু হল জেসুইট হায়ার এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন সাউথ এশিয়ার (জেএইচইএএসএ) দুদিনব্যাপী বার্ষিক সম্মেলন। এদিন সকালে সম্মেলনের সূচনা অনুষ্ঠান থেকেই ফাদার ফেলিক্স রাজের হাতে ‘মাজিস মেডেল’ তুলে দেওয়া হয়। সংগঠনের এই স্বীকৃতির জন্য ধন্যবাদ জানিয়ে ফেলিক্স রাজ বলেন, “একটি পুরস্কার আসলে একজন ব্যক্তির অতীতের সাফল্যের প্রতি জনগণের প্রশংসা ও স্বীকৃতি। যা একই সঙ্গে ভবিষ্যতে আরও কাজ করার দায়িত্ব বাড়িয়ে দেয়। আমার এখনও অনেকটা পথচলা বাকি রয়েছে।”
১৯৭৪ সালে পাটনায় জেসুইট প্রশিক্ষণ নেওয়া শুরু করেছিলেন ফাদার ফেলিক্স রাজ। এ বছর তাঁর জেসুইট হওয়ার ৫০ বছর পূর্ণ হল। এই মাইল ফলককে স্বীকৃতি দিতেই জেএইচইএএসএ-র তরফে ‘মাজিস মেডেল’ দিয়ে সম্মানিত করা হল ফেলিক্স রাজকে। তাঁর পরিচয় দিতে গিয়ে জেএইচইএএসএ-এর বার্ষিক সম্মেলনের সচিব জো অরুণ উদ্ধৃত করেন জন ফেলিক্স রাজ সম্পর্কে ২০১২ সালের ১১ সেপ্টেম্বর তৎকালীন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল এম কে নারায়ণনের করা মন্তব্য। যেখানে তিনি বলেছিলেন, “এতদিন পর্যন্ত আমার মনে হত প্রশাসন এবং ধার্মিকতাই ওঁর গুণাবলি। আমি এখন বুঝতে পারি যে সৌম্য বিশিষ্টতার পিছনে রয়েছে বুদ্ধিমান এবং তীক্ষ্ণ বুদ্ধির সঙ্গে দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জ্বলন্ত ইচ্ছা। ফাদার ফেলিক্স রাজ শুধু সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজের মধ্য দিয়ে গিয়েছেন বা যাবেন তাঁদের জন্য নয়, অন্য উপযুক্ত প্রতিষ্ঠানে যাঁরা পড়াশোনা করেন তাঁদের জন্যও একজন সত্যিকারের আইকন।…”
[আরও পড়ুন: মেডিক্যাল মামলায় গোটা বিচারপ্রক্রিয়ায় স্থগিতাদেশ, দুই বিচারপতির সংঘাতে সুপ্রিম নির্দেশ]
এদিনের সম্মেলনের আলোচ্য বিষয়বস্তু ছিল, ‘ডিসার্নমেন্ট, নেটওয়ার্কিং অ্যান্ড কোলাবরেশন’। তা নিয়ে ফেলিক্স রাজ বলেন, “অনেক থিয়োরিগত আলোচনা হয়েছে। এবার তার উপর কাজ করার সময় এসে গিয়েছে। একক কলেজগুলোর মধ্যে জোনাল ও জাতীয় স্তরে তা করতে হবে। নেটওয়ার্কিং বা কোলাবরেশন ছাড়া আমরা প্রতিষ্ঠান হিসাবে একা দাঁড়িয়ে থাকব। অন্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নেটওয়ার্ক থাকলে প্রভাব অনেক বেশি হবে। তাই আমরা নেটওয়ার্কিং-এর উপর জোর দিচ্ছি।” সফল নেটওয়ার্কিং-এর উদাহরণ হিসাবে তিনি তুলে ধরেন সেন্ট জেভিয়ার্স বিশ্ববিদ্যালয় গড়তে প্রাক্তনীদের বিপুল অবদানের কথা। সম্মেলনে ছিলেন দক্ষিণ এশিয়ার জেসুইট প্রভিন্সিয়াল রেভারেন্ড স্ট্যানিসলাউস ডি’সুজা, রোমের জেসুইট কুরার উচ্চশিক্ষার সচিব ফাদার জোসেফ কৃষ্টি, সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ কলকাতার অধ্যক্ষ ফাদার ডোমিনিক সাভিও, কলকাতা প্রভিন্সের প্রভিন্সিয়াল জেমস আর্জেন টেটে, সেন্ট জেভিয়ার্সের রেক্টর ফাদার জয়রাজ ভেলুস্বামী প্রমুখ।
[আরও পড়ুন: জ্ঞানবাপীতে ‘শিবলিঙ্গ’, ভাঙা মূর্তি! সমীক্ষা রিপোর্ট নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ মসজিদ কমিটির]