সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হিন্দি (Hindi) বনাম আঞ্চলিক ভাষা বিতর্ক আজকের নয়। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) নেতৃত্বাধীন সরকারি ভাষা সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটি সুপারিশ করেছে ইংরাজির বদলে সরকারি কাজের ভাষা হোক হিন্দি। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার তামিলনাড়ু (Tamil Nadu) বিধানসভায় কেন্দ্রের বিরুদ্ধে ‘হিন্দি আগ্রাসনে’র অভিযোগ এনে প্রস্তাব পেশ করল রাজ্য সরকার। জানা গিয়েছে, এরপরই সভাকক্ষ থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
কয়েক দিন আগেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কাছে কমিটির রিপোর্ট জমা দিয়েছেন শাহ। ঠিক কী সুপারিশ করা হয়েছে কমিটির রিপোর্টে? সেখানে পরিষ্কার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, রাষ্ট্রসংঘে ভারতের সরকারি ভাষা হোক হিন্দি। আবার সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অর্থাৎ কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় থেকে আইআইটি ও কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় সেখানে শিক্ষাদানের ভাষাও হিন্দিই হোক।
[আরও পড়ুন: দেশকে দিওয়ালির উপহার! গুজরাট সীমান্তে নয়া বায়ুসেনা ঘাঁটি, ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন মোদির]
পাশাপাশি হিন্দিভাষী রাজ্যগুলিতে হাই কোর্টের কাজের ভাষাও করা হোক হিন্দিকে। এছাড়াও সরকারি চাকরির পরীক্ষায় বাধ্যতামূলক ইংরাজির জায়গায় এবার থেকে হিন্দি রাখতে হবে। এমনই নানা প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় কমিটির তরফ থেকে। এরপর থেকেই হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ তুঙ্গে উঠেছে। এমন পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার তামিলনাড়ু বিধানসভায় পেশ হল একটি প্রস্তাব। সেখানে বলা হয়েছে, সংসদীয় কমিটির প্রস্তাবে কক্ষের তরফে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে, কেন্দ্র যেন সংসদীয় কমিটির রিপোর্ট মেনে এই ধরনের কোনও পদক্ষেপ না করে। কেননা তা রাজ্যের ভাষাগুলির বিরোধী। পাশাপাশি যাঁরা সেই ভাষায় কথা বলেন তাঁদেরও পরিপন্থী।
উল্লেখ্য, সাম্প্রতিক সময়ে বারবার হিন্দি আগ্রাসনের অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। সরকারি কাজে এবং যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে ইংরাজির পরিবর্তে হিন্দির ব্যবহার বাড়ানোর পক্ষে অমিত শাহ সওয়াল করার পর দেশজুড়ে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। বিশেষ করে দক্ষিণের রাজ্যগুলিকে তীব্র নিন্দায় মুখর হতে দেখা গিয়েছিল। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিনকে (MK Stalin) প্রধানমন্ত্রী মোদির (PM Modi) সঙ্গে এক মঞ্চে থাকা অবস্থায় বলতে শোনা গিয়েছিল, ”তামিলকেও হিন্দির মতো কাজের ভাষা হিসেবে ঘোষণা করা হোক। এবং মাদ্রাজ হাই কোর্টেও সেটিকে সরকারি ভাষা করা হোক।”