সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম বিলিকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা জেলায় জেলায়। বীরভূমের (Birbhum) মুরারইতে ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট কমপক্ষে ৭ জন। অন্যান্য জেলাতেও ভিড়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন অনেকে। পূর্ব বর্ধমানে দুয়ারে সরকার ক্যাম্প ঘুরে দেখলেন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ (Swapan Debnath)।
চলতি বছরের হাইভোল্টেজ বিধানসভা নির্বাচনের (Assembly Election 2021) আগে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তার মধ্যেই ছিল লক্ষ্মীর ভাণ্ডার। এই প্রকল্পের মাধ্যমে তফসিলি ও আদিবাসী মহিলাদের মাসে ১০০০ টাকা এবং জেনারেল বা সাধারণ মহিলারা মাসে ৫০০ টাকা করে পাবেন বলে জানিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জানিয়েছেন ১৬ আগস্ট অর্থাৎ সোমবার থেকে রাজ্যে দুয়ারে সরকার ক্যাম্পে দেওয়া হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের ফর্ম। সেই মতোই সোমবার সকাল থেকে জেলায় জেলায় শুরু হয়েছে ক্যাম্প। ভিড় হবে আন্দাজ করে এদিন ভোর রাত থেকেই জেলায় জেলায় দুয়ারে সরকার শিবিরে লাইন দেন বহু মানুষ। সকালে ক্যাম্প শুরু হতেই হুলুস্থুল পরিস্থিতি তৈরি হয়। লাইনে উধাও করোনাবিধি। অধিকাংশের মুখে নেই মাস্ক! বালাই নেই দূরত্ববিধিরও।
[আরও পড়ুন: মালদহ থেকে ৫০ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার STF-এর, পাচারে জড়িত সন্দেহে গ্রেপ্তার মোট ৪]
বীরভূমের মুরারইয়ের ১ নম্বর পঞ্চায়েতেও ছবিটাও এক। জানা গিয়েছে, এদিন ফর্ম বিলি শুরু হতেই ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় সেখানে। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হন কমপক্ষে ৭ জন। বহু মানুষের মোবাইল খোয়া দিয়েছে। শোরগোল পড়ে যায় এলাকায়। তড়িঘড়ি আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। এ বিষয়ে মুরারই ১ নম্বরের তৃণমূল ব্লক সভাপতি বিনয় ঘোষ জানান, আমরা সবাইকে ভাগে ভাগে আসতে বলেছিলাম, কিন্তু একইদিনে সবাই চলে আসায় বিপত্তি।” পঞ্চায়েত প্রধান রজনী পাখিরা বলেন, “গ্রামবাসীদের সচেতন করতে মাইকিংও করেছি। মানুষ বোঝেনি। ভুল বোঝাবুঝির কারণে এই পরিস্থিতি। অনেক বড় দুর্ঘটনা ঘটতে পারত।” বর্ধমান থেকে পশ্চিম মেদিনীপুর, সব জায়গার ছবিটাই কার্যত এক। ফর্ম নিতে গিয়ে ভিড়ের চাপে নাজেহাল মানুষ। তবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন।